মৌপিয়া নন্দী
কুণাল ঘোষকে এলি তেলি গঙ্গারাম বলে কটাক্ষ করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। জি ২৪ ঘণ্টায় একান্ত সাক্ষাতকারে প্রজাপতি ছবির রিলিজ নিয়ে ফের সেই কথাই টেনে আনলেন মহাগুরু। উল্লেখ্য, মিঠুন-দেবের ছবি 'প্রজাপতি' নিয়ে কুণালের মন্তব্য ছিল মিঠুনের খারাপ অভিনয়ের জন্য ছবিটি ফ্লপ করবে। এনিয়ে এবার পাল্টা কুণাল ঘোষকে নিশানা করলেন মিঠুন।
আরও পড়ুন- রাহুল-আথিয়া সেরে ফেললেন বিয়ে, শুভেচ্ছা জানালেন বিরাট থেকে সানিয়া
কুণাল ঘোষের দাবি, তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে সাহায্য নিয়েছেন মিঠুন। এমনকি মিঠুনকে ধারাবাহিক দলবদলুও বলেছেন। এনিয়ে মিঠুন বলেন, যদি বলেন কোনও এক মুর্খপাত্র যাঁর নাম গঙ্গারাম এসব বলছে তাহলে বলতে পারব। আমি কি এমন নগন্য যে এইসব লোকের হেল্প নিতে হবে আমাকে! এসব আমি বলছি কারণ আমাকে যারা অপমান করে তাদের আমি বলতে চাই, দেখো কেমন লাগছে? এটা তো রাজনীতি নয়! এটা হল ব্যক্তিগতভাবে কাউকে অপমান করা, খামোখা। কারও নাম নিয়ে কাউকে ছোট করেছি শুনেছেন কখনও? কোনও পার্টিকে ছোট করি না। কোনও প্রার্থীকে ছোট করি না।
এদিকে, নাম না করে কুণাল সম্পর্কে এসব বলেই ক্ষান্ত থাকেননি মিঠুন। মহাগুরু আরও বলেন, একটা জিনিস বলা খুব দরকার। কেউ কেউ বলছে মিঠুন এসেছেন তাই বিজেপির ভোট কমে যাবে। তৃণমূলের ভোট বেড়ে যাবে। তাহলে বলুন, এই যে আমি এসেছি তাতে তৃণমূলের লাভ তো হয়েছে! এই যে পোপটলাল বা গঙ্গারাম যাই বলেন না কেন উনি তৃণমূলের একটা ভোট বাড়াতে পারবেন? যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিটা সরিয়ে দেন তাহলে ভোট তো দূরের কথা এদের কেউ ভিক্ষে পর্যন্ত দেবে না। এই কথাটা বলে রাখলাম। এই যে গঙ্গারাম, পোপটলালদের বলবেন রেসে একলা দৌড়তে। চ্যালেঞ্জ করছি তার পরেও এরা সেকেন্ড আসবে। এদের যোগ্যতা এতটুকই।
জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া ওই সাক্ষাতকারে মিঠুনের মন্তব্য নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, 'বোঝাই যাচ্ছে, ভিতরে কতটা রাগ থাকলে, উষ্মা থাকলে এ ধরণের কথা বলেন। কারণ, তিনি অন্যায় কাজ করেছেন, আমি সরাসরি তাঁর মুখোশটি খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সেকারণেই তাঁর রাগ'। তাঁর দাবি, 'এই গঙ্গারামকে দিয়ে যখন প্রণব মুখোপাধ্যায়কে বলিয়ে পদ্মশ্রীর সুপারিশ করেন, তখন গঙ্গারাম মনে থাকে না। এই গঙ্গারামের সঙ্গে ২০১১ সালে মমতাদি ক্ষমতায় আসার পর, রাইটার্সে গিয়ে মমতা আমায় ক্ষমা করে দাও! কে বলেছিল? মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিল'।