ওয়েব ডেস্ক: সমর চক্রবর্তীর স্মরণসভায় আরও কাছে এল দুটি পরিবার। দৃঢ়তর হল আত্মীয়তার বন্ধন। অঙ্গদানে সচেতনতা বাড়াতে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন সমর চক্রবর্তীর দাদা। পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে গ্রামে এই সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। যে অঙ্গীকারে সামিল মাধুরী সাহা এবং শোভনা সরকারের পরিবারও।
মৃত্যুপথযাত্রী দুটি মানুষ। যাঁদের অঙ্গদানে প্রাণ ফিরে পেয়েছে আরও কয়েকটি মানুষ। অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরেছে কারও দৃষ্টি। বেনজির অঙ্গদানের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা। এক মাসে দুবার। সেই সংখ্যাটা আরও বাড়ুক। শুধু গ্রহীতাই নয়, দাতার সংখ্যাটা আরও বাড়ুক। ভাই সমর চক্রবর্তীর স্মরণসভায় সেই শপথ নিলেন সুধীর চক্রবর্তী।
সেই অঙ্গীকারে আবদ্ধ হল শোভনা সরকার এবং মাধুরী সাহার পরিবারও। একটু একটু করে আলোয় ফিরছেন মাধুরী সাহা। এক মৃত্যু থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে অন্য জীবনের পথচলা। শরীরে সমর চক্রবর্তীর লিভার নিয়ে একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছেন মাধুরী।
খুব সহজ ছিল না। অঙ্গদান বা গ্রহণে ইচ্ছুক হলেই তো আর হবে না। কোথায় যেতে হবে, কীভাবেই বা সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, অঙ্গদানের নিয়মই বা কী, এখনও সচেতন নয় সমাজ। ফলে শোভনা সরকার বা সমর চক্রবর্তীর পরিবার অঙ্গদানে ইচ্ছুক থাকলেও বহু বাধা পেরোতে হয়েছে তাঁদের। অঙ্গ পেতে মাধুরী সাহা, কেয়া রায় বা ফিরোজের পরিবারকেও অনেক পথ হেঁটে আসতে হয়েছে। আর এই বাধাই কাটিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন সমর চক্রবর্তীর দাদা সুধীর চক্রবর্তী।
সমর ও মাধুরীর পরিবার শুধু নয়, আরও বহু পরিবার এভাবেই আত্মীয়তার বন্ধনে বাঁধা পড়ুক। মৃত্যুর পরেও শোভনা সরকার বা সমর চক্রবর্তীর মতো অমরত্ব লাভ করুক আরও বহু মানুষ। সমরের স্মরণসভায় বারবার ধ্বনিত হল এই সুর।