জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ছাব্বিশের আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে শমীক ভট্টাচার্য। আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণার পর তিনি বললেন, 'এবার দুশো পার নয়, তৃণমূলকে পরপারে পাঠাব'! সঙ্গে কংগ্রেস ও সিপিএম কটাক্ষ, 'ভোট কাটার রাস্তায় গিয়ে ঘুরপথে মমতাকে আনবেন না। সরাসরি তৃণমূলের হয়ে পথে নামুন। বিজেপি লড়াই করবে'।
আরও পড়ুন: Santanu Sen: ডিগ্রি নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’, নোটিস! অবশেষে ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন বাতিল শান্তনু সেনের
শমীক বলেন, 'বাংলার মানুষ, তাঁরা জানেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি হারাতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসকে। মমতার বিকল্প মুখ কোথায়! নতুন বিতর্ক। আরে যে মুখকে মানুষ প্রত্যাখান করে দিয়েছে,যে মুখকে মানুষ বিসর্জন দিতে চাইছেন, তার বিকল্প মুখের কোনও প্রয়োজন নেই। তৃণমূল চলে যাচ্ছে, তৃণমূলের বিসর্জন হচ্ছে। বাংলার মানুষ মুক্তি চায়। বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ পরিত্রাণ চায়। বাংলার মানুষ শিল্পায়ন চাই। বাংলার মানুষ পশ্চিমবঙ্গ থেকে মেধাতে ফ্রিতে বাইরে যেতে দিতে চায় না। বাংলার মানুষ পরিযায়ী শ্রমিককে ঘরে রাখতে চায়। ঘরের ছেলেকে ঘরে দেখতে চায়'।
বিজেপি নতুন রাজ্য সভাপতি বলেন, 'গোটা পশ্চিমবঙ্গকে খোলা বাজার বানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতারিত হয়েছে মেধা। চল্লিশ হাজার চাকরি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সতেরো হাজার ছেলেমেয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যত্ নিয়ে রাস্তা বসে আছেন'। বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে ভবিষ্যতে কোনও মেধা প্রতারিত হবে না। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোনও পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে যাবে না। সে পরিস্থিতি তৈরি করতে বিজেপি বদ্ধপরিকর'।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে সংখ্যালঘুদেরও বার্তা দিয়েছেন শমীক। তাঁর সাফ কথা, 'দিনের পর দিনের সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মাটিতে। সংখ্যালঘুদের বুঝতে হবে, বিজেপির লড়াই সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে নয়। বিজেপির লড়াই কোনও মুসলমানের বিরুদ্ধে নয়। , আমরা লড়াই করছি আপনাদের বিরুদ্ধে। কারণ, আপনাদের বাড়ির ছেলেটা, যারা পাথর নিয়ে ঘুরছে, আমরা পাথরটা কেড়ে নিয়ে ফুল ধরিয়ে দিতে চাই। যারা তলোয়ার নিয়ে রাস্তা নেমেছে, আমরা তলোয়ার কেড়ে নিয়ে তাদের হাতে কলম ধরিয়ে দিতে চাই'।
আরও পড়ুন: Kasba Law College Incident: কসবা গণধ*র্ষ*ণকাণ্ডে পুলিসের কাছে মনোজিতের 'বড়' স্বীকারোক্তি...
এদিন যখন আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে শমীকের নাম ঘোষণা করা হয়, তখন মঞ্চে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী। সাধারণত এই ধরণের অনুষ্ঠানে দলের সমস্ত প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিদেরই আমন্ত্রণ করা হয়নি। এবারও করা হয়েছিল। ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু দিলীপ ঘোষ ও তথাগত রায়। দলের এই দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)