Home> কলকাতা
Advertisement

বাসের রেষারেষিতে মৃত ২; আগুন, ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি, রণক্ষেত্র চিংড়িঘাটা

এলাকায় বিশাল পুলিসবাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে RAF।

বাসের রেষারেষিতে মৃত ২; আগুন, ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি, রণক্ষেত্র চিংড়িঘাটা

নিজস্ব প্রতিবেদন : শহরে ফের বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন ২ জন। চিংড়িঘাটায় সেক্টর ফাইভগামী সরকারি বাস পিষে দিল ২ যুবককে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু'জনের। নিহতদের নাম বিশ্বজিত্ ভুঁইয়া ও সঞ্জয় মুর্মু।

জানা গেছে, বিশ্বজিত্ ও সঞ্জয়ের বাড়িতে আজ একটি অনুষ্ঠান রয়েছে। বাড়ির অনুষ্ঠানের জন্য মিষ্টি কিনতে গিয়েছিলেন তাঁরা দু'জন। মিষ্টি কিনে ফেরার পথেই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি। এস-৩০ রুটের একটি বাস পিষে দেয় বিশ্বজিত ও সঞ্জয়কে।

এদিকে দুর্ঘটনার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় জনতা। ইএম বাইপাস অবরোধ করেন উত্তেজিত জনতা। পর পর বেশ কয়েকটি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। তারপর বাসগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেন স্থানীয়রা। পুলিসকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পাল্টা ইট ছুঁড়তে শুরু করে পুলিসও। বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জও করে পুলিস। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় চিংড়িঘাটা কানেক্টর। দেখুন সেই ছবি-

আরও পড়ুন, শহরে পরপর দুর্ঘটনা, গুরুতর আহত ১০

এই ঘটনার জেরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে চিংড়িঘাটা মোড়ে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় রয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে RAF-ও। তবে কোনওভাবেই উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে এসেছেন স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসুও।

স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, "পুলিস যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কোনও ভূমিকা পালন করে না।" তাঁদের আরও অভিযোগ, "যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের থেকে পুলিস তোলা তুলতেই বেশি ব্যস্ত।"

Read More