দেবারতি ঘোষ: পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের গ্রেফতারে প্রবল অস্বস্তিতে পার্থ ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্ত। গোটা ব্যাপারটিকে পারিবারিক ধাক্কা বলে মন্তব্য করলেন কাউন্সিলর। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। বলেন, যা হয়েছে তাতে মেয়ের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর কলকাতা পুরসভা থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ কলকাতা পুরসভার শেষ মাসিক অধিবেশনে অনুপস্থিতি ছিলেন বাপ্পাদিত্য। মঙ্গলবার জি ২৪ ঘণ্টাকে এনিয়ে বাপ্পাদিত্য বলেন, আমি প্রথম গরহাজির থাকি ২২ জুলাই। কারণ ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে বৃষ্টিতে ভিজে শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া আমার বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়ের কোভিড টেস্ট করতে হয়। দু-তিন দিন জ্বর ছিল।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, পার্থর হাত ধরেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি বাপ্পাদিত্যর। চাকরি ও পুরসভার কাজ একইসঙ্গে করেন বাপ্পাদিত্য। এখন পার্থর গ্রেফতারে অস্বতিতে পড়ে গিয়েছেন বাপ্পা। এনিয়ে তিনি বলেন, গোটা ঘটনায় পারিবারিকভাবে স্তম্ভিত আমি। ব্যক্তিগতভাবে মেয়ের কাছে মুখ দেখাতে আমার লজ্জা করছে এখন। এই ঘটনায় বড় ধাক্কা খেয়েছি মানসিকভাবে। আমার গোটা পরিবারই ধাক্কা খেয়েছে।
বাপ্পাদিত্য আরও বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাদা ও আমার বাবা দুজনে বন্ধু ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে আমাদের মধ্যে একটা পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তাঁর হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছি। কীভাবে ভুলব এসব কথা। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে দেখেছি। ব্যক্তিগত কোনও পরিচিতি নেই।
পার্থর একের পর এক সম্পত্তির হদিস পাওয়া যাচ্ছে। এর কিছুই কি আপনি জানতেন না?
বাপ্পাদিত্য বলেন, জানতাম না। একথা বিশ্বাস না হলে তদন্তকারী সংস্থা আমাকে ডাকলে আমি তৈরি। আমার যা বলার আছে বলব। এর আগেও আমাকে ডাকা হয়েছিল। সেই সময় আমার আইটি রিটার্ন নিয়ে হেসেছিল ইডি-সিবিআই। যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে আমি রাজী।