জ্যোতির্ময় কর্মকার: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাটকীয় মোড়! আন্দোলনকারীদের বড় ধাক্কা সুপ্রিম কোর্টে। প্রাথমিকে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের হাইকোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, 'কারও চাকরি বাতিল করা যাবে না। চাকরি থেকে কাউকে বরখাস্ত নয়। ২৬৯ জনেরই চাকরি বহাল রাখতে হবে। ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে। সুযোগ না দিয়েই একতরফাভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' এর পাশাপাশি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের হাইকোর্টের নির্দেশের উপরও স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট এদিন এটাও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যে, সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে ঠিকই, কিন্তু মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না। ৪ সপ্তাহ পর সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টে আপাত স্বস্তি পেলেন মানিক ভট্টাচার্য। যদিও ইডির গ্রেফতারি মামলায় এদিন রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত। তাই ইডি হেফাজতেই থাকতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে ২৬৯ জনের চাকরি বেআইনি। এই মর্মে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। একইসঙ্গে তাঁদের সকলের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যে নির্দেশের বিরুদ্ধে পালটা আবেদন হয় ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়-ই বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত বহাল রাখে। পাশপাশি, নিয়োগে গরমিল থাকার অভিযোগে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ সিঙ্গল বেঞ্চ দিয়েছিল, তাও বহাল রাখে।
আরও পড়ুন, TET: 'অন্যায্য দাবি, নিয়োগ দেওয়া যায় না', অনশনরত টেট চাকরিপ্রার্থীদের সাফ বার্তা পর্ষদ সভাপতির
ডিভিশন বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানায় যে, সিবিআই-এর রিপোর্ট থেকে এটা স্পষ্ট যে অনেকেই টেট ফেল করেও চাকরি পেয়েছেন। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ২৬৯ জনকে কোনওভাবেই চাকরিতে পুনর্বহাল নয়। এককথায় ২৬৯ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিলের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে সিলমোহর দেয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, সিঙ্গল বেঞ্চের প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রাথমিক পর্ষদ। কেন ২৬৯ জনকে বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তা আজ পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। OMR শিট সহ একাধিক নথি সিঙ্গল বেঞ্চের সামনে পেশ করেনি পর্ষদ।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)