নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির (BJP) সঙ্গে এখন আর কোনও সম্পর্ক নেই তাঁর। দল থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ার পর এবার রাজ্যপালকে (Governor Jagdeep Dhankhar) নিশানা করলেন জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Mazumdar)। জগদীপ ধনখড়কে তাঁর প্রশ্ন, 'রাজ্য কি প্রশাসনের সঙ্গে আপনার দ্বন্দ্বে উপকৃত হয়? সাধারণ মানুষ রাজ্যপালের কাছে রাষ্ট্রনায়কত্ব আশা করে'।
রাজভবনের সঙ্গে নবান্ন সম্পর্ক 'মধুর' নয় একেবারেই। বরং বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকে জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সরকারের সংঘাত নিয়মিত হয়ে উঠেছে। রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। গতকাল, বৃহস্পতিবার আবার প্রশাসনিক বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিস সুপারকে প্রশ্ন করেন, 'তোমার কি কাজ করতে ভয় লাগছে? তোমাকে কি রাজ্যপাল ফোন করেন'? সঙ্গে পরামর্শ, 'রাজনৈতিক চাপে যদি কাজ করতে অসুবিধা হয়, তাহলে সরাসরি আমাকে জানতে পার'। চুপ করে বসেন থাকেননি রাজ্যপালও।
What a worrisome scenario! CM Mamata Banerjee in full media glare pulls up Purba Medinipur SP by asking “Did governor call you' is serious issue needing focussed reflection @IASassociation @IPS_Association.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 4, 2022
Unfortunate- A spinal blow by CM to Police @WBPolice @KolkataPolice pic.twitter.com/dh4FPSJYsd
রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে কিন্তু রাজ্যপালেরই পক্ষ নিয়েছে বিজেপি (BJP)। উল্টো পথে হাঁটলেন দল থেকে বরখাস্ত হওয়া নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Mazumdar)। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'মিডিয়া ও টুইটার কি এই দ্বন্দ্ব মেটানোর উপায়? আপনার অবস্থান কি আসলে ক্ষমতাসীন দলের সহানুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে না'? এমনকী, রাজ্যপালের কাছে সাধারণ মানুষ কী প্রত্যাশা করেন, সে বিষয়ে কোনও রাখঢাক রাখেননি জয়প্রকাশ।
@jdhankhar1
— Jay Prakash Majumdar (@jay_majumdar) February 4, 2022
Does our beloved West Bengal benefit from your confrontations with the State administration?
Are media & tweets viable means for resolving such disputes?
Isn't your stand actually providing sympathy to the ruling party?
People expect statesmanship from a Governor. https://t.co/uBtaeQZz4K
একুশের বিধানসভা ভোটে ধাক্কা সামলানো যায়নি এখনও। উল্টে কলকাতায় পুরভোটে ধরাশায়ী বিজেপি। পদ্মশিবিবের এখন চূডান্ত ডামাডোল! কলকাতায় খোদ মোদী সরকারের মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে বৈঠকে করেছেন দলের বিক্ষুদ্ধ নেতারা। সেই বৈঠকে যোগ দেওয়াই শুধু নয়, বনগাঁয় বিক্ষুদ্ধ নেতাদের সঙ্গে পিকনিক করতেও দেখা গিয়েছে জয়প্রকাশ মজুমদারকে। এরপর প্রথমে শোকজ এবং শেষপর্যন্ত বিজেপি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে।