নিজস্ব প্রতিবেদন: এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও রহস্যের সমাধান হয়নি। রানিগঞ্জের শিল্পপতি মনোজ ভালোটিয়ার স্ত্রী পুষ্পা ভালোটিয়া খুনের ঘটনায় এখনও কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি সিআইডি। এই ঘটনার দায়িত্বভার এবার সিবিআইকে দিল হাইকোর্ট। সিআইডি-র তদন্তে বিরক্ত হয়েই এই নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর রানিগঞ্জের শিল্পপতি মনোজ ভালোটিয়ার স্ত্রী পুষ্পা ভালোটিয়া খুন হন। সেদিন বিকালে বাড়ি থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বৌদি বলেছিলেন জানিয়ে দেবে সব কথা, ভয়েই আত্মঘাতী ‘দেওর’
রানিগঞ্জের লায়ন্স ক্লাব সংলগ্ন পাড়ায় থাকে ভালোটিয়া পরিবার। সেদিন দুপুরে প্রথমে গুলির আওয়াজ ও পরে পরিচারকদের চিত্কার শুনে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। বাড়িতে ঢুকে মনোজের স্ত্রী পুষ্পা ভালোটিয়াকে অগ্নিদগ্ধ এবং রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান সকলে। তড়িঘড়ি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই গৃহবধূকে। সেখানে সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তাঁর।
তদন্তে উঠে আসে নানা তথ্য। মনোজ ভালোটিয়া নাকি মাত্রাতিরিক্ত কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা চালাতেন পুষ্পাদেবীর ওপর। যার জেরে পুষ্পার মানসিক যন্ত্রণা চরম সীমায় পৌঁছেছিল। তাঁর মোবাইল ব্যবহার থেকে শুরু করে সমস্ত বিষয়েই বাধা ছিল মনোজের। মনোজ-পুষ্পার দুই সন্তান অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করছে। যে সময় ঘটনাটি ঘটে সেই সময় গৃহবধূর স্বামী মনোজ ভালোটিয়া বা পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না বলেই দাবি করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
সেদিন পুষ্পার দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হলেও, তদন্তে উঠে আসে সেদিন খুন করা হয়েছিল শিল্পপতির স্ত্রীকে। কিন্তু ঠিক কী কারণে খুন, কারাই বা খুন করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিআইডি এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয়। কিন্তু তবুও এখনও অধরা সূত্র।
মঙ্গলবার হাইকোর্টে এই ঘটনার শুনানি ছিল। হাইকোর্ট সিআইডিকে তদন্তে সন্তুষ্ট হয় না। এরপরই বিচারপতি এই তদন্তের দায়িত্বভার সিবিআইকে দেন।