নিজস্ব প্রতিবেদন : দলীয় মুখপত্র 'জাগো বাংলা'য় ফের কংগ্রেসকে আক্রমণ তৃণমূলের। 'জাগো বাংলা'র সম্পাদকীয়তে কংগ্রেসকে 'রণক্লান্ত' বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে যে, "বিজেপিকে প্রতিরোধ করার কথা ছিল কংগ্রেসের। তারাই ছিল কেন্দ্রের বিরোধী দল। কিন্তু কংগ্রেস উদাসীন, রণক্লান্ত, ভারাক্রান্ত, অন্তর্দ্বন্দ আর দলীয় জটিলতায় বিদীর্ণ। যেন ব্যাটন বাইতে অপারগ। কিন্তু সময় পড়ে থাকে না, কাউকে এগিয়ে আসতেই হয়। তৃণমূল কংগ্রেস সেই দায়িত্ব পালন করবে। তারাই আসল কংগ্রেস।" একইসঙ্গে আরও বলা হয়েছে যে, "সকলকে সঙ্গে নিয়েই চলতে চান অভিষেকরা।"
প্রসঙ্গত, এর আগে দলীয় মুখপত্রে বিজেপি, সিপিআইএমকে তুলোধনা করেছে তৃণমূল। এর আগে আরও একবার তুলোধনা করা হয়েছে কংগ্রেসকেও। কংগ্রেস ব্যর্থ, ইউপিএ শেষ এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে কংগ্রেসের দল ধরে রাখা সমস্যা বলে দাবি করেছিল তৃণমূল। জাগোবাংলায় কংগ্রেস 'ডিপফ্রিজে' বলে তৃণমূলের বক্তব্য ছিল, "কংগ্রেসের মধ্যে সেই ঝাঁঝটাই কমে গিয়েছে।" পাশাপাশি, সিপিএমকে‘জাদুঘরে CPM’ বলেও কটাক্ষ করা হয়েছিল দলীয় মুখপত্রে। লেখা হয়েছিল, "কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে প্রায় শতাব্দীপ্রাচীন বহু বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি সাদা বাড়ি, যাকে কলকাতার মানুষ জাদুঘর হিসেবেই জানেন। সেই জাদুঘরেই নিজেদের নাম খোদাই করে রাখার জন্য চ্যালেঞ্জ নিয়েছে রাজ্যের বামেরা। ২৩৬ থেকে এখন তারা আক্ষরিক অর্থেই শূন্য। বিধানসভায় শূন্য। লোকসভায় শূন্য। কলকাতা পুরসভা নির্বাচন শেষ হলে সেখানেও বিগ জিরো নিশ্চিত। পঞ্চায়েতেও ঘটনার পুনরাবৃত্তি।"
অন্যদিকে পদ্মশিবিরের উদ্দেশেও কড়া আক্রমণ শানিয়েছিল তৃণমূল। বিজেপিকে তুলোধনা করে লেখা হয়, "সাম্প্রদায়িকতার বীজ বাংলার ভূমিতে পোঁতার চেষ্টা করে চলেছে গেরুয়া শিবির।" একইসঙ্গে বিজেপির উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তৃণমূলের বক্তব্য ছিল, "বিধানসভায় সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল মানুষ। ১৯ ডিসেম্বর তার পুনরাবৃত্তি হবে।"
আরও পড়ুন, Asansol: কাজ দেওয়ার নামে দিল্লিতে পাচার! চলন্ত ট্রেন থেকে উদ্ধার ৪ নাবালিকা ও ২ যুবতী