ওয়েব ডেস্ক: কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে তৃণমূলের জোড়া হাতিয়ার। প্রথমটি কেন্দ্রের আধারনীতি। দ্বিতীয়টি বিদেশনীতি। এই দুই ইস্যুতে সংসদে সরব হবে তৃণমূল। মোদী বিরোধী রাজনীতিতে যে প্রথম সারিতে মমতা, সে বার্তাটাই দিল্লিতে দিয়ে আসতে চান তৃণমূল সাংসদরা।
মিড ডে মিল পেতে লাগবে আধার। খবর সামনে আসার পরই প্রতিবাদে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে টুইট। এবার এই ইস্যুতেই পথে তৃণমূল কংগ্রেস। সুবোধ মল্লিক স্ক্যোয়ার থেকে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে মহিলা তৃণমূলের। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি নিয়ে প্রথম সরব হন মমতা। টুইট করেন। শহর কলকাতার পথে প্রতিবাদে নামে তৃণমূল। মিছিলও হয়।
আমেরিকায় ভারতীয়দের ওপর হামলার প্রতিবাদেও সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বেগ প্রকাশ করে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বার্তা দিয়েও রাখলেন টুইটে। এবারও পথে নামল তৃণমূল। সোমবার বিধানসভা চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করলেন তৃণমূল বিধায়করা।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সবই স্টেজ আসলে রিহার্সাল। আসল লড়াই সংসদে। ৯ই মার্চ শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্যায়। সেখানে আধার নীতির বিরুদ্ধে সরব হবে তৃণমূল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয়দের ওপর হামলার উল্লেখ করে প্রশ্ন তোলা হবে মোদীর বিদেশনীতি নিয়েও। শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সেই নির্দেশ পৌছে গিয়েছে সাংসদদের কাছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রথম দিন থেকেই আট ঘাট বেঁধে নামবেন দলের সাংসদরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন অভিবাসন নীতিই হোক বা কেন্দ্রের আধারনীতি। দুটি ক্ষেত্রেই মমতা যখন প্রতিবাদ শানিয়েছেন, তখন চুপ দেশের অন্য নেতারা। পরে তাঁরা মমতাকে অনুসরণ করে সরব হয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামীদিনে মোদী বিরোধী রাজনীতির প্রথম সারিতে থাকতে চান মমতা। আর এসবই আসলে সেই কৌশলের অঙ্গ।