Home> কলকাতা
Advertisement

Kanchan Mullick: 'বদলি করে দেব তোকে', এবার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে 'দাদাগিরি' বিধায়ক কাঞ্চনের!

Kanchan Mullick: বিজেপি নেতা সজল ঘোষের কটাক্ষ, টভাঁড়ও মস্তানি করছে! পশ্চিমবঙ্গ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে! একেই বলে রাজনৈতিক ক্ষমতা. সরকারি ক্ষমতা। এদের না ক্ষমা চাইতে বেশিক্ষণ লাগে না। এক হাতে গলায়, আর এক হাত থাকে পায়ে। যখন যেটা দরকার হয়'।

 Kanchan Mullick: 'বদলি করে দেব তোকে', এবার  স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে 'দাদাগিরি'  বিধায়ক কাঞ্চনের!

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের বিতর্কে উত্তরপাড়া তৃণমল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। 'বদলি করে দেব তোকে', স্কুল অব ট্রপিক্য়াল মেডিসিনে গিয়ে এবার 'দাদাগিরি'! বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে  স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ডিরেক্টরকে চিঠি দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর ফোরাম।

আরও পড়ুন:  WATCH: এবার যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজের তন্ময়! কলেজ রুমের টেবিলে বসিয়ে ছাত্রীকে...

ঘটনাটি ঠিক কী? আজ, বুধবার শাশুড়িকে ডাক্তার দেখাতে স্কুল অব ট্রপিক্য়াল মেডিসিনে যান কাঞ্চন। আউটডোরে তখন রোগীদের ভিড়। প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কর্তব্য়রত চিকিত্‍সক বিধায়ককে বলেন, একটু অপেক্ষা করুন। অভিযোগ, তাতেই  মেজাজ হারান বলে তিনি। স্রেফ ধাক্কাধাক্কি বা হেনস্তা নয়, চিকিত্‍সককে বদলির হুমকি দেন বিধায়ক। শেষে অন্য় রোগীরা প্রতিবাদে করলে সেখান থেকে বেরিয়ে যান কাঞ্চন।

বিজেপি নেতা সজল ঘোষের কটাক্ষ, 'ভাঁড়ও মস্তানি করছে! পশ্চিমবঙ্গ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে! একেই বলে রাজনৈতিক ক্ষমতা. সরকারি ক্ষমতা। এদের না ক্ষমা চাইতে বেশিক্ষণ লাগে না। এক হাতে গলায়, আর এক হাত থাকে পায়ে। যখন যেটা দরকার হয়'। বলেন, 'স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে ঢুকে মস্তানি করাচা সমচীন নয়. বিশেষ করে যদি জনপ্রিতিনিধি হন। রাজনৈতিক ব্য়ক্তিরা রাজনৈতিক পদ পেলে সদ্ব্যবহার করে, দুর্নীতিও করতে পারে। এই ধরণের লোকগুলি পদ ভাব, ভাবে আমার হারানোর কিছু নেই। তখন তারা যা খুশি করতে শুরু করে। কাঞ্চন মল্লিকও তাই করে'।

তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের মতে, 'ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক, অনভিপ্রেত। ডাক্তারবাবু একজন রোগী দেখছিলেন। যে বা যাঁরাই থাকুক, তাঁদের একটু ধৈর্য ধরা উচিক ছিল। যদি কেউ ডাক্তারবাবুর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে একদম ঠিক কাজ হয়নি'।

আরও পড়ুন:  Rajanya Haldar Prantik Chakraborty: 'কোন মুখে এত কথা রাজন্যার'! স্বামী প্রান্তিকই প্রোমোট করেছেন মনোজিতকে...

এদিকে যাবতীয় অভিযোগই অস্বীকার করেছেন কাঞ্চন মল্লিক। তাঁর দাবি, 'আমার ছিয়াশি বছরের দিদা শাশুড়িকে আউটডোরে টিকিট কেটে দেখাব বলে গিয়েছিলাম। কোনও সুবিধা নিইনি।  ডাক্তার রহমান বললেন, তিন-চারজনকে দেখে আপনাকে দেখব। দাঁড়িয়েছিলাম। আমি বলেছি, আপনি কি প্রেসারটা চেক করবেন। উনি বলেন, আমি কি চেক করব না করব,. সেউ উত্তরটা কি আপনাকে দেখব। একটি ওষুধ চলবে কি চলবে না জিজ্ঞেস করলাম। তাতে বললেন, আপনি এমবিবিএস পাস করেছেন। পাস করলে এখানে এসে বসুন। চিত্‍কার করলেন আমার স্ত্রী উপর। কেন করলেন না জানি না। আমি বলি, আমারও তো কিঞ্চিত্‍ আত্মসম্মান আছে। না গায়ে হাত তুলেছি, না কোনও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে'। সঙ্গে প্রশ্ন, 'অভিযোগগুলি কারা তুলেছেন! তাদের কাছে প্রমাণ আছে! সিসিটিভি ফুটেজ বা কিছু যে আমি একথাগুলি বলেছি'।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More