বিক্রম দাস: ব্য়বসান মাস চারেকের। ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় পরেশ পালকে ফের নোটিশ পাঠাল সিবিআই। সিডিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল বেলঘাটার তৃণমূল বিধায়ককে। কেন? কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে খুনের ঘটনায় পরেশ পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
যেদিন একুশের বিধানসভা ফল ঘোষণা হয়, সেদিন কলকাতায় খুন হন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। কাঁকুড়গাছিতে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। বিজেপির ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ছিলেন অভিজিৎ। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণেই খুন। কারা খুন করল? অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। গেরুয়াশিবিরের দাবি, শাসকদলের মদতেই তাদের দলের কর্মীকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধরের পর, গলায় তার পেচিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে অভিজিৎ-কে।
এদিকে রাজ্যে ভোট-পরবর্তী অশান্তির অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে রিপোর্ট জমা পড়ার পর, সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে আদালত। শুধু তাই নয়, বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে খুন ও ধর্ষণের ঘটনাগুলির তদন্ত করছে সিবিআই। সেই তালিকায় রয়েছেন অভিজিৎ সরকারকে খুনের মামলাটিও।
আরও পড়ুন: TMC: নজরে পঞ্চায়েত ভোট, নন্দীগ্রামে সংগঠন ঢেলে সাজাল তৃণমূল
এর আগে, এ বছরেরই মে ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রথমবার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালকে তলব করে সিবিআই। সেবার সিডিও কমপ্লেক্লে অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারী। তাহলে কেন ফের তলব? সিবিআই সূ্ত্রে খবর, পরেশ পালকে জিজ্ঞাসাবাদ এখনও শেষ হয়নি। অভিজিৎ সরকারকে খুনে মামলায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছে আরও তথ্য় পাওয়া গিয়েছে। ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় সিবিআইয়ে জেরার মুখে পড়েছেন আরও ২ তৃণমূল বিধায়ক। জুন মাসে দুর্গাপুরে অস্থায়ী ক্যাম্পে বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক অভিজিত্ সিংহ ও পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বিধায়ক শাহনাওয়াজ হোসেনকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী। কেন? সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলতে চান না কেউ।