ওয়েব ডেস্ক : পুলকার ও স্কুলবাস দুর্ঘটনা ঠেকাতে কড়া নির্দেশ দিল পরিবহণ দফতর। ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে রাস্তা থেকে তুলে নিতে হবে ২০০৬-এর আগের সব গাড়ি। পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন স্কুলবাস ও পুলকার চালকদের। তিনি বলেন, মালিকরা যদি নাও চান চালকরা সরাসরি পরিবহণ দফতরের দ্বারস্ত হোন। পরিবহণ বিধি না মানলে মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। পাশাপাশি, চালকের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করা হবে। অভিযোগ নেওয়ার জন্য প্রতি শনিবার খোলা থাকবে পরিবহণ দফতর। শুধু তাই নয়, স্কুলবাস দুর্ঘটনার দায় সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিও এড়াতে পারবে না। ট্রাভেল এজেন্সি পুরনো বাস চালালে কিংবা পুরনো টায়ার দিয়ে গাড়ি চালালে তার দায় সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারবে না।
আরও পড়ুন- ভুল রোল নম্বর লেখায় মেরে ক্লাস ফোরের ছাত্রীর কান ফাটালেন শিক্ষিকা!
পড়ুয়াদের সুরক্ষাই, ফার্স্ট প্রায়োরিটি। একের পর এক পুলকার ও স্কুলবাস দুর্ঘটনা ঠেকাতে এবার তাই আরও কড়া পরিবহণ দফতর। নির্দেশ দেওয়া হল, ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে রাস্তা থেকে তুলে নিতে হবে ২০০৬-এর আগের সব গাড়ি। এবিষয়ে স্কুলের দায়বদ্ধতার দিকেও জোর দেন পরিবহণমন্ত্রী।
চলতি বছরের ২৪ জুন পরমা ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনা। মৃত্যু হল পুলকার চালকের। সেদিনের সেই লোরেটো স্কুলের পড়ুয়া বোঝাই পুলকার দুর্ঘটানায় অল্প চোট-আঘাতে লাগে পড়ুয়ারাদের।
পরের ঘটনা ১ জুলাই। বেলগাছিয়া থেকে হেদুয়া যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের রেলিংয়ে ধাক্কা মারে হোলি চাইল্ড স্কুলের পড়ুয়া বোঝাই পুলকার। জখম ৮ পড়ুয়া।
এরপরই ২২ জুলাই হুগলিতে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পড়ুয়া বোঝাই পুলকার। ব্যান্ডেলের মানসপুরে হঠাত্ই আগুন ধরে যায় পুলকারটিতে। অল্পের জন্য রক্ষা পায় অক্সিলিয়ম কনভেন্টের ৬ ছাত্রী।
এখানেই শেষ নয়, ১৯ অগাস্ট রুবি মোড়ে দুর্ঘটনা। এবারও অল্পের জন্য রক্ষা। বাইপাসে রুবি মোড়ের কাছে বাঁক নিতে গিয়ে, কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে স্কুলবাস। রাস্তায় বসে যায় বাসের চাকা।
লিস্ট লম্বা। একের পর এক দুর্ঘটনা স্কুলবাস- পুলকারের। আতঙ্কে পড়ুয়ারা। চিন্তিত বাবা-মায়েরা। বিশেষ করে, গত কয়েক মাসে এধরনের পড়ুয়া বোঝাই পুলকার দুর্ঘটনা, কপালে ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনেরও। সমস্যা কী? কোথায়? দাওয়াই খুঁজছে পরিবহণ দফতর। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একের পর এক।