Home> কলকাতা
Advertisement

প্রতিবাদ, আন্দোলন সত্ত্বেও কেন স্থায়ী উপাচার্যের পদে অভিজিত্‍ চক্রবর্তী?

প্রবল আন্দোলন। ছাত্র, অধ্যাপক, সমাজের সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী- প্রত্যেকেই সামিল  হয়েছিলেন সেই আন্দোলনে। দাবি একটাই পদত্যাগ করতে হবে উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তীকে। 

প্রতিবাদ, আন্দোলন সত্ত্বেও কেন স্থায়ী উপাচার্যের পদে অভিজিত্‍ চক্রবর্তী?

ওয়েব ডেস্ক: প্রবল আন্দোলন। ছাত্র, অধ্যাপক, সমাজের সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী- প্রত্যেকেই সামিল  হয়েছিলেন সেই আন্দোলনে। দাবি একটাই পদত্যাগ করতে হবে উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তীকে।  কিন্তু  যাদবপুরের স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে রাজ্যপাল বেছে নিলেন সেই অভিজিত চক্রবর্তীকেই।  কিন্তু কেন ?যাদবপুর কান্ডের গোড়া থেকেই  রাজ্য সরকার উপাচার্যের পাশে  দাঁড়িয়েছিল।  বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডাকা থেকে শুরু করে  ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ সব কিছুতেই খোদ শিক্ষামন্ত্রী বারেবারেই  উপাচার্যের হয়ে মুখ খুলেছেন । উপাচার্য বলেছিলেন পুলিশ না ডাকলে তিনি সেদিন রাতে খুন হয়ে যেতেন।

অভিজিত চক্রবর্তী শিক্ষা দফতরকে বুঝিয়েছিলেন, সেদিন রাতে পুলিশ না ডাকলে মারাত্মক ঘটনা ঘটে যেত। কারণ নকশালরাই নাকি গোটা ঘটনা পরিচালনা করেছে। এমনকি  উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছে তার পিছনে রয়েছে মাওবাদীদের প্রত্যক্ষ মদত। মুখ্যমন্ত্রীকে এইসব বক্তব্য বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন  অভিজিত চক্রবর্তী।  যাদবপুরে বর্তমানে নানা দুষ্কর্ম করা হয় বলেও জানানো হয়েছে।  একই জিনিস বারেবারে রাজ্যপালকেও বোঝানো হয়েছে।  একটি অসম্পাদিত ভিডিও ফুটেজ মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে পাঠানো হয়। ওই ফুটেজ দেখেই নাকি মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল মনে করেছেন অভিজিত চক্রবর্তী কোনও ভুল করেননি। উঠে আসছে  অন্য  তথ্যও। অভিজিত্ চক্রবর্তী এই মুহুর্তে শাসকদলের খাস লোক। বি এড কলেজ কেলেঙ্কারিতে তাঁর তৈরি রিপোর্টে মুখ রক্ষা হয়েছিল তৃণমূলের। বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলের প্রতি তিনি নানাভাবে আনুগত্যও দেখিয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন সেই রাজনৈতিক আনুগত্যেরই পুরস্কার হিসেবে এবার গোটা শাসক দল দাঁড়াল অভিজিত চক্রবর্তীর পাশে।  

 

Read More