সুতপা সেন: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় এবার বিধবারাও! সঙ্গে আগের মতোই বিধবা ভাতাও পাবেন তাঁরা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। শুধু তাই নয়, দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে এখন থেকে অভিযোগও জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
বাংলার মহিলাদের জন্য একটি নয়া প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নাম, 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'। এই প্রকল্পে সাধারণ মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা, আর যাঁরা তফশিলি জাতি কিংবা উপজাতির, তাঁদের মাসে হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। কারা পান এই ভাতা? যাঁরা সরকারি বা বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন কিংবা পেনশন পান, তাঁরা ছাড়া সকলেই। তবে উপভোক্তার বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন বিধবারাও। এমনকী, যাঁরা বিধবা ভাতা পান, বাদ যাবেন না তাঁরাও।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: নভেম্বর-ডিসেম্বরে রাজ্যে হিংসা ছড়াতে পারে বিজেপি, মন্ত্রীদের হুঁশিয়ারি মমতার
এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে ফের চালু হয়ে গিয়েছে 'দুয়ারে সরকার'। মঙ্গলবার, প্রথমদিনেই ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র-সহ মোট ২ হাজার ৭৯১টি ক্যাম্প করা হয়। দুয়ারে সরকারে ক্যাম্পে খাদ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্রেডিট কার্ড-সহ ২৫টি সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মিলছে জমির পাট্টা ও বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদনের সুবিধাও। কিন্তু যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে? তাও জানানো যাবে 'দুয়ারে সরকার'-র ক্যাম্পেই। জেলাশাসকদের তেমনই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।
এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে চাষের জমিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বাবা ও ছেলে। বিদ্যুতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়া। বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, চাষের জমির উপর দিয়ে যদি বিদ্যুৎ তার যায়, সেক্ষেত্রে ফসলের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কৃষককে। জমিতে টাওয়া বসানো হলে, ফসলের দামে মিলবে বাড়তি টাকা।