জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০১১-র পর সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প দেখল বিশ্ব (Russia Earthquake Tsunami Hits)। গত বুধবার ভোর ৪টে ৫১ মিনিটে রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে পেট্রোপাভলভস্ক-কামচাটস্কি শহর থেকে ১২৫ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে ভূমিকম্প। আভাচা বে নামে এক শহরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৯.৩ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র। ৮.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ৭.৫ মাত্রার আফটার শকও হয় বলে খবর। ভূমিকম্পের পরই সঙ্গে সঙ্গে আছড়ে পড়েছে সুনামি। তবে রাশিয়ার বীভৎস ভূমিকম্পও নাকি নস্যি! মহাপ্রলয়েই আসছে 'ডুমসডে'...বাবা ভাঙ্গার ভয়ংকর ভবিষ্যদ্বাণীতে শোরগোল...(Baba Vanga's Next Doomsday Prediction)
বাবা ভাঙ্গার ভয়ংকর ভবিষ্যদ্বাণী
রাশিয়ার ভয়ংকর ভূমিকম্প গোটা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই ভূমিকম্প কেবল রাশিয়াতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, জাপান এবং আমেরিকাতেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এমনকী জাপানেও সুনামির সতর্কতা জারি হয়েছে। আর এর সঙ্গেই ফের চর্চায় বুলগেরিয়ান নস্ত্রাদামুস বাবা ভাঙ্গা। তাঁর ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণী আবারও আলোচনায় এসেছে। বাবা ভাঙ্গা ১৯১১ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি ৯/১১ হামলা থেকে প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু এবং চিনের উত্থানের মতো অনেক বড় বড় ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তা অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি চোখে দেখতে পারতেন না ঠিকই, কিন্তু মানুষ বিশ্বাস করেন যে, তিনি ভবিষ্যৎ দেখতে পারতেন। বাবা ভাঙ্গা, এই নামেই আজ সারা পৃথিবী সন্ত্রস্ত! তাঁর সব হাড়হিম ভবিষ্যদ্বাণী ঘুম উড়িয়েছে পৃথিবীর। যদি বাবা ভাঙ্গাকে বিশ্বাস করি, তাহলে ২০২৫ সালে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গেই ধ্বংসযজ্ঞ হতে চলেছে। রাশিয়া ভূকম্পনের পরেই মানুষ ভীত যে এটিই কি তাহলে পৃথিবীর শেষের শুরু?
রইল ২০২৫ থেকে ৫০৭৯ পর্যন্ত বাবা ভাঙ্গার ২৮ ভয়ংকর সব ভবিষ্যদ্বাণী
১) ২০২৫ সালে ইউরোপের জনসংখ্যা হ্রাস পাবে।
২) ২০২৮ সালে পৃথিবী থেকে ক্ষুধা শেষ হয়ে যাবে এবং মানুষ শুক্র গ্রহে প্রবেশাধিকার পাবে।
৩) ২০৩৩ সালে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।
৪) ২০৪৩ সালের মধ্যে ইউরোপ একটি ইসলামিক দেশে পরিণত হবে।
৫) ২০৪৬ সালে মানব দেহের কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যাপকভাবে উৎপাদিত হবে।
৬) ২০৬৬ সালে আমেরিকা পরিবেশ ধ্বংসকারী অস্ত্র আবিষ্কার করবে।
৭) ২০৭৬ সালে সমাজে জাতিভেদ সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে যাবে।
৮) ২০৮৪ সালে প্রকৃতি নিজের পুনর্জন্মের পথে হাঁটবে।
৯) ২০৮৮ সালে এক ভয়ংকর ভাইরাস মানুষের দ্রুত বয়স বাড়াবে
১০) ২০৯৭ সালের মধ্যে ভাইরাসের প্রতিকার আবিষ্কৃত হবে।
১১) ২১০০ সালে একটি কৃত্রিম সূর্য পৃথিবীর অন্ধকার দিককে উষ্ণ করবে।
১২) ২১১১ সালে রোবটের আধিপত্য বৃদ্ধি পাবে।
১৩) ২১৬৭ সালে একটি নতুন ধর্ম বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।
১৪) ২১৭০ সালে বিশ্ব তীব্র খরার মুখোমুখি হতে পারে।
১৫) ২১৯৫ সালে জলজ সম্প্রদায়ের উত্থান দেখা যাবে।
১৬) ২২৭৯ সালে কৃষ্ণগহ্বর এবং মহাকাশ পদার্থ আবিষ্কৃত হবে।
১৭) ২২৮৮ সালে টাইম মেশিনে চেপে ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হবে।
১৮) ২২৯১ সালে সূর্য অনেকটাই ঠান্ডা হয়ে যাবে। মানুষই তা উষ্ণ করার চেষ্টা করবে।
১৯) ২২৯৯ সালে ফ্রান্স ইসলামী রাষ্ট্রগুলির বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ চালাবে।
২০) ২৩০২ সালে বিচার ব্যবস্থায় আরও উন্নতি হবে।
২১) ২৩০৪ সালে মানুষ চাঁদ সম্পর্কে ব্যাপক ভাবে অধ্যয়ন করবে।
২২) ২৩৪১ সালে পৃথিবীতে ভিনগ্রহীরা উত্পাত করবে।
২৩) ২৩৭১ সালে সারা বিশ্বে দুর্ভিক্ষের সমস্যা দেখা দেবে।
২৪) ২৪৮০ সালে দুটি কৃত্রিম সূর্যের সংঘর্ষের কারণে সম্পূর্ণ অন্ধকার নেমে আসবে।
২৫) ৩০১০ সালে একটি গ্রহাণু চাঁদে আঘাত করবে, যার কারণে ধুলোর বিশাল মেঘ দেখা যাবে।
২৬) ৩৭৯৭ সালে সমস্ত জীব অদৃশ্য হয়ে যাবে।
২৭) ৪৩০২ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই শহরগুলি পুনরায় আবির্ভূত হবে।
২৮) ৫০৭৯ সালে পৃথিবী পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প-সুনামি-দাবানল-আগ্নেয়গিরি; দানব-জলের গ্রাসে ১৪ দেশ! তলিয়ে গেল ২৩০০০০ প্রাণ...
আমাদের কি ভয় পাওয়া উচিত নাকি শিক্ষা নেওয়া উচিত?
বাবা ভাঙ্গার কথায় ভয় পাওয়া উচিত নয়, তবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকা উচিত। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কেউ জানে না, তবে প্রকৃতির লক্ষণগুলিকে উপেক্ষা করাও ঠিক নয়...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)