জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দীপাবলি বা দিওয়ালি ভারতে অন্যতম বড় উৎসব। বাঙালিরা অবশ্য দিনটিকে কালীপুজো বা শ্যামাপুজো বলে উল্লেখ করে। আর যে কোনও পুজোর সময়েই পুজোর ঠিক আগে ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করার একটা রীতি আছে। বাঙালিরা দুর্গাপুজোর সময়েই মূলত ঘরসাফাইয়ের কাজটা করে থাকে। তবে আজকাল কালীপুজোর সময়েও আর এক দফা ঘরবাড়ি সাফসুতরো করার রেওয়াজ দেখা যায়।
ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাটা পুরোটাই স্বাস্থ্যের দিকে তাকিয়ে। আবর্জনা-ময়লা থেকে জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে, ঘটে যথেচ্ছ দৃশ্যদূষণও। পরিষ্কার রান্নাঘর-ড্রয়িংরুম-স্টাডি মনও ভালো করে দেয়। তবে এ সবের পাশাপাশি এসবের সঙ্গে বাস্তুরও একটা যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করেন লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞেরা। বাস্তুবিদেরা সাধারণত কিছু নেগেটিভ বস্তুকে চিহ্নিত করেন এবং বলে থাকেন, ঘর পরিষ্কার করলে আগে সেগুলিকে বিদায় জানানো জরুরি, কেননা, সেগুলির থাকা বা না-থাকার সঙ্গে আমাদের সৌভাগ্যের উদয়ের সরাসরি যোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: Horoscope Today: সপ্তাহের শুরুতে ভাগ্য কতটা সুপ্রসন্ন? পড়ুন রাশিফল
বাস্তু-বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, অন্ততপক্ষে এই পাঁচটি পুরনো ভাঙা-চোরা জিনিস সরাতেই হবে ঘর থেকে:
১) ভাঙা গ্লাস-- এটি দুর্ভাগ্যের প্রতীক। এটি বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি ছড়িয়ে দেয়। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য দায়ী এটি। ফলে দীপাবলিতে ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে সবার আগে সরিয়ে ফেলুন ভাঙা গ্লাস।
২) বিকল গ্যাজেট-- আজকাল তো সব বাড়িতেই হরেক কিসিমের ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেটের ছড়াছড়ি। ব্যবহার করতে করতে এগুলি খারাপও হয়ে যায়। দিওয়ালির আগে এগুলি সারিয়ে নেওয়া উচিত, সারানো না গেলে ফেলে দেওয়া উচিত।
৩) ভাঙা দেবদেবীমূর্তি-- ঘরে কোনও ভাবেই ভাঙা দেবদেবীর মূর্তি রাখা বা তার পুজো চলবে না। তা দুর্ভাগ্য ডেকে আনে। দিওয়ালির আগে তা সরিয়ে ফেলুন।
৪) ভাঙা আসবাব-- বাড়ির যে কোনও ভাঙা আসবাবপত্রই অশুভ বলে মনে করা হয়। হয় তা দীপাবলির আগে সারিয়ে ফেলুন, নয় তো তার মায়া ত্যাগ করুন।
৫) বন্ধ ঘড়ি-- পুরনো বন্ধ হয়ে যাওয়া ঘড়ি দুর্ভাগ্যের প্রতীক। দিওয়ালির আগে দ্রুত তা সারিয়ে ফেলুন। না হলে ঘরে দুর্ভাগ্য ডেকে আনবে তা।
(সাধারণ ভাবে প্রাপ্ত এ-সংক্রান্ত কিছু তথ্য ও লোকবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই মূলত লেখা; জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো এখানে এ বিষয়ে কোনও নিজস্ব মত জানাচ্ছে না বা নির্দেশ দিচ্ছে না।)