জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্যান্টের পেছনের পকেটে মানিব্যাগ অথবা ওয়ালেট অধিকাংশ পুরুষই রাখেন। তবে এই অভ্যাসই আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
পেছনের পকেটে ওয়ালেট রেখে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা মেরুদন্ডের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞদের মতে এই অভ্যাস পরবর্তীকালে মেরুদন্ডের হাড় স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরিয়ে দিতে পারে। এছাড়া এই অভ্যাসের কারণে বসার ভঙ্গিও বদলে যেতে পারে। ফলে সময়ের আগে এই অভ্যাস বন্ধ করুন। মেরুদন্ডের হাড় সরে গলে নিতম্বে ব্যথাও দেখা দিতে পারে। পরে এই ব্যথা সায়াটিকা স্নায়ু ধরে পুরো পায় অথবা পিঠে ছড়িয়ে পরতে পারে। কখোনও এই ব্যথা এতটাই তীব্র হয় যে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতাটুকু থাকে না। এই ব্যথা দেখা দিলে সঠিক সময় চিকিত্সা দ্বারা কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুন-'বাদ-পড়া নামেরও একটি তালিকা আমরা বানাতে বাধ্য নই'! ADR-এর তীব্র বিরোধিতা নির্বাচন কমিশনের...
কোথায় থাকে সায়াটিকা স্নায়ু-
সায়াটিকা আমাদের দেহের সবচেয়ে দীর্ঘতম এবং মোটা একটি স্নায়ু। যা শুরু হয় স্পাইন বা মেরুদন্ড থেকে। এই স্নায়ুর রুটের একাধিক আসে কোমরের নীচের দিকে যা “লাম্বার স্পাইন” নামে পরিচিত। এই স্পাইনের আঘাতেই ব্যথার সূত্রপাত। এছাড়া এই ব্যথাকে “লাম্বোসায়াটিকা পেইন” ও বলা হয়। স্নায়ুর বাকি রুটের উত্পত্তি মেরুদন্ডের শেষ অংশ থেকে, যাকে বলে “স্যাক্রাম”। এই স্যাক্রাম একত্রিত হয়ে ডান ও বাম দিকের কোমর এবং নিতম্বের নীচ থেকে একেবারে পায়ের গোড়ালি অবধি চলে যায়।
আমাদের মধ্যে অনেকেই অফিসে ঘন্টার পর ঘন্টা ডেক্সে বসে কাজ করি। তবে কাজ করার সময় পেছনের পকেটে মানিব্যাগ যাতে না থাকে সেইদিকে নজর রাখতে হবে। কাজ করার সময় মানিব্যাগ ডেক্সে রাখুন। এই অভ্য়াস না কমালে ব্যথা থেকে নিস্তার পাওয়া কঠিন। নিতম্বে অথবা সায়াটিকার সমস্যা দেখা দিলে এড়িয়ে না যাওয়া উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ নিলে এই ব্যথার নিরাময় সম্ভব। তবে দীর্ঘদিন এই ব্যথাকে এড়িয়ে গেলে সমস্যা বাড়তে পারে।
শরীরকে সামগ্রিকভাবে সুস্থ রাখতে সঠিক ভঙ্গিতে বসা অত্যন্ত জরুরি। দীর্ঘসময় একই যায়গায় এবং একইভাবে বসে থাকতে হলে, বসার ভঙ্গির দিকে নজর রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, এমন চেয়ারে বসতে হবে যাতে আপনার পিঠ এবং মেরুদন্ড সঠিকভাবে সেই চেয়ার ধরে রাখতে পারে।
আরও পড়ুন-রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের, উপকৃত হবেন কোটি কোটি মানুষ
আরও যেসব কারণে সায়াটিকার ব্যথা দেখা দিতে পারে-
সায়াটিকার ব্যথা নানা কারণে হতে পারে। গাড়িতে শক অবজার্ভার থেকে থাকে, তা আমরা সকলেই জানি। তেমনই আমাদের মেনুদন্ডের মাঝে মাঝে ছোট ছোট ডিস্ক থাকে যা, শক অবজার্ভারের কাজ করে। কোনও কারণে বা আঘাতের কারণে ডিস্ক ফেটে তরল-সহ মজ্জা বেড়্য়ে এসে স্নায়ুতে ধাক্কা মারে। এটি সায়াটিকা ব্যথার অন্যতম কারণ।
স্নায়ুর কোনও অসুখেও এই ব্যথা হয়। এছাড়া মেরুদন্ডের ওপর কোনও টিউমার হলেও এই ব্যথা দেখা দেয়। টিউমার নার্ভের উপর চাপ দেওয়ার ফলেই, এই ব্যথা দেখা দেয়।
অনেকের আর্থ্রাইটিস অথবা বাতের সমস্যা থাকতে পারে। এর ফলেও এই ব্যথা দেখা যায়। কোনও দুর্ঘটনায় আঘাতের কারণও এই ব্যথার সূত্রপাত হতে পারে। কোমর ভেঙে গেলেও সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া অন্তঃসত্ত্বাদেরও এই সমস্যা দেখা যায়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)