ওয়েব ডেস্ক: "হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে/সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে/অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধুসর জগতে/সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে/আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন/আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন।" বনলতা সেনের জন্য আর কলম ধরবেন না জীবনানন্দ দাশ। আর লিখবেন না কবিতা। না, তিনি জীবিত নয় বলে নয়, তাঁর মতন আরও যারা রয়েছেন, যারা প্রকৃতিতে খুজেছে প্রেম, তাদের কলমে এবার মৃত্যু লেখা। প্রকৃতির মৃত্যু হচ্ছে, তিলেতিলে। অপরাধ ছাড়াই প্রকৃতিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মানুষ। নিজের জীবিকার তাগিদে, কখনও অজান্তে, কখনও হেলায় প্রকৃতির শ্বাস রোধ করছে মানুষ। প্রকৃতি নাকি নির্বাক। তাই প্রতিক্রিয়াহীন প্রকৃতি ধরিত্রীর ভার ও বইছে অক্লান্ত অকুন্ঠতায়।
তবে বাঁধ ভাঙছে 'বনলতা সেনে'র। বারবার বনলতার অসহিষ্ণুতায় প্রাণ গেছে মানুষেরই। প্রকৃতির রোষেই টলমল পৃথিবী। প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে মানুষ ও প্রকৃতির ভারসাম্য। আর এই ভারসাম্যহীনতার দায় নিতে হবে মানুষকেই। নদীর বুক চিরে তেল খনন, হীরের খোঁজে কোপ পরেছে মৃত্তিকা বক্ষে। শীত ভাঙতে প্রাণ গেছে ভাল্লুকের। কলকাতা হয়েছে কনজিউমারের দাস। সুমেরু থেকে কুমেরু পৃথিবী কোথাও উষ্ণতায় ফুটছে কোথাও বা বরফ গলে বইছে আনন্দধারা।
এমন কিছু ছবি, যেখানে প্রকৃতিকে নিজে হাতে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে মানুষ-
কানাডার আলবাতরায় খনন পক্রিয়ায় মৃত জঁজাল পুকুর।
ব্রাজিলের পশুউৎপাদন শিল্প।
কলকাতার কনজিউমার কালচার।
মেক্সিকোর জনবসতি।