নিজস্ব প্রতিবেদন: অনেকসময়ই দেখা যায় শিশুরা নিজেদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে না। অন্যমনস্কের থেকেও বড় চিন্তা যখন তারা একা একা থাকতে শুরু করে। সকলের থেকে দূরে গিয়ে, ঘরের কোণে কিংবা একা একা থাকতে চাই। চোখে মুখে কিছুটা অস্বস্তি, কিছুটা ভয়। এমন পরিস্থিতি হলে কখনই তা ফেলে রাখবেন না। কারণ শিশুদের সঙ্গে যৌন হেনস্থা হলে এই লক্ষণগুলিই প্রাথমিকভাবে দেখা যায়।
ভারতে এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আর এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলতেও দ্বিধাগ্রস্ত হন অনেকেই। সেই কারণে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক সমস্যায় পড়তে হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। প্রতিদিন অসংখ্য শিশু এর শিকার হচ্ছে। শৈশবের এই ঘটনাগুলো তাদের সারাজীবন কষ্ট দেয়। এমতাবস্থায় অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শিশুর আচরণ বা শারীরিক অস্বস্তি দেখে বা বোঝা, শিশুদের এটি সম্পর্কে কথা বলা উচিত।
আরও পড়ুন, আজ প্রাক্তনকে চড় কষিয়েছেন? জানেন তো শুরু হয়েছে Anti-Valentine's Week!
স্পর্শের মাধ্যমেই যে যৌন নির্যাতন হয়, তা সবসময় নয়। অযাচিত স্পর্শ, চুম্বন না করে অশ্লীল ছবি, ভিডিও দেখানোও যৌন নির্যাতনের অংশ। এই নির্যাতনেই কিন্তু মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শিশুরা। শিশুদের আচার-আচরণ, কথাবার্তা বা শারীরিক কার্যকলাপেও বদল আসে৷ বিশেষ করে যখন শিশুদের গোপনাঙ্গে বা তার আশেপাশে ব্যথা, চুলকানি বা রক্তপাত হয়। হাঁটতে বা বসতে অসুবিধা। খিদে কমে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা, হারিয়ে যাওয়া, মন খারাপ হওয়া, এইগুলি গুরুতর লক্ষণ। এইসব ক্ষেত্রে অবিলম্বে অভিভাবকদের সতর্ক করা উচিত।