নিজস্ব প্রতিবেদন: গন্ধ নিয়ে মানুষের বিচিত্র অভিজ্ঞতা, বিচিত্র অনুভূতি। কারও নতুন বইয়ের ঘ্রাণ ভালো লাগে, কারও ভালো লাগে নতুন চামড়ার গন্ধ, কারও ছেলেবেলার কোনও স্মৃতিধার্য ঘটনার বিশেষ গন্ধ, কারও আবার বৃষ্টিভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ! গন্ধের প্রতি এই টান বা সংবেদন থেকেই ধীরে ধীরে সুগন্ধিদ্রব্য হয়ে উঠেছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। রুচি এবং ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও তা জড়িয়ে গেছে।
প্রকৃতির রূপে-রসে-গন্ধে মাতাল কবি জীবনানন্দ, বা পথের ধারের ফোটা বুনোফুলের ঘ্রাণে আহ্লাদিত কথাকার বিভূতিভূষণের গন্ধ-অনুভূতির নানা নিদর্শন তাঁদের রচনায় মুদ্রিত। সুগন্ধ-সৌরভের প্রতি মানুষের মুগ্ধতা সহজাত। সুগন্ধের যেমন হাজারটা রকম আছে। মানুষের পছন্দেরও রয়েছে অদ্ভুত সব রকমফের। যে সব গন্ধের কথা উপরে বলা হল তা ছাড়া আরও সব বিচিত্র জিনিসের গন্ধ ভালোবাসে মানুষ। য়েমন-- আলকাতরার গন্ধ, ব্লিচিং পাউডারের গন্ধ, পেট্রোলের গন্ধ ইত্যাদি।
কেন গন্ধ নিয়ে আজ এত বিচার?
কারণ, আজ বিশ্ব সুগন্ধি দিবস। দিবসটির উদযাপন কবে কীভাবে শুরু হয়েছিল, তা অবশ্য ঠিক জানা যায় না। যেমন জানা যায় না পারফিউমের উৎপত্তির সর্বজনগ্রাহ্য ইতিহাস। উৎপত্তিস্থল হিসেবে মেসোপটেমিয়ার (বর্তমান ইরাক, কুয়েত ও সৌদি আরব) নামই পাওয়া যায়। মেসোপটেমিয়ায় ফুল, তেল, গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে সুগন্ধি তৈরি করা হত। চার হাজার বছর আগে প্রতিষ্ঠিত সুগন্ধির কারখানার সন্ধানও পাওয়া গেছে সাইপ্রাসে। এখানে ফল ও ফুলের ব্যবহার করা হতো সুঘ্রাণ তৈরিতে।
বিচিত্র ও বিশেষ এই দিনটাকে একটু ভিন্ন আমেজে উদ্যাপনও করতে পারেন। নতুন কোনো পারফিউম কিনে উপহার দিতে পারেন প্রিয় মানুষটিকে; একগুচ্ছ সুগন্ধি ফুলও হতে পারে আজকের জন্য বিশিষ্ট এক উপহার।
আরও পড়ুন: Jupiter Rise: বৃহস্পতির আশীর্বাদে এই ৪ রাশির বিপুল উন্নতিযোগ! জেনে নিন কোন কোন রাশি