জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অবশেষ এসে গেল রথযাত্রা। রীতিমতো মহোৎসব এই অনুষ্ঠান। বাংলা ও ওড়িশার অগণিত মানুষ মেতে ওঠেন এই উৎসবকে ঘিরে। এই বছর জগন্নাথের রথযাত্রা পড়েছে ২০ জুন তারিখে। রথযাত্রা শুরু হবে ২০ জুন রাত ১০:০৪ মিনিটে। পরদিন ২১ জুন সন্ধে ০৭:০৯ মিনিটে শেষ হবে রথযাত্রা। বিশ্বাস, রথযাত্রায় অংশগ্রহণকারী ভক্তরা সৌভাগ্য ও আশীর্বাদে ধন্য হন।
আরও পড়ুন: One Day Trip From Kolkata: আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে চলুন শহরের কাছেই আশ্চর্য সুন্দর এই স্পটে...
পুরীতেই রথযাত্রা সবচেয়ে বিখ্যাত। দারুণ আড়ম্বর এর। পুরীতে মন্দিরদ্বার থেকে চলতে শুরু করে যাত্রাপথে অনেক জায়গায় থামে জগন্নাথদেবের রথ। কোথাও ভক্তেরা ভিড় করে থেকে দর্শন করেন দেবতাকে। কোথাও ভক্তেরা রথোপরি স্থিত ভগবানকে ফলফুলমিষ্টি ইত্যাদি নিবেদন করেন।
জগন্নাথ এবং বলরাম ও সুভদ্রা যথাক্রমে তিনটি আলাদা আলাদা রথে চেপে রথযাত্রায় বেরোন। রথগুলির আলাদা আলাদা নামও আছে। যেমন, জগন্নাথের রথের নাম নন্দীঘোষ, বলরামের রথ তালধ্বজ এবং সুভদ্রার রথ দর্পদলান নামে পরিচিত। রথগুলি সুন্দরভাবে সজ্জিত হয়। ভক্তদের দ্বারা এই রথ পুরীর রাস্তায় টানা হয়। রথযাত্রাটি প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরত্ব জুড়ে গুন্ডিচা মন্দিরে শেষ হয়। গুন্ডিচা মন্দিরে পৌঁছতে প্রায় ১ দিন সময় লাগে রথের। এখানে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা ৮ দিন থাকার পরে ৯ দিনের মাথায় বেরিয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: Transit of Jupiter: অশ্বিনী নক্ষত্রে বৃহস্পতির গোচরে কী অকল্পনীয় সৌভাগ্যের মুখোমুখি হবেন জানেন?
জগন্নাথের রথ যখন ফিরে আসে তখন তাকে বলে বহুদা যাত্রা। এই যাত্রায় জগন্নাথের রথ থামে জগন্নাথের মাসির বাড়ি। এই মাসি অবশ্য ঠিক মায়ের বোন 'মাসি' নয়, এঁর পরিচয় হল, ইনি পৌর্ণমাসী। ইনি আসলে জগন্নাথের ভক্ত। জগন্নাথের সঙ্গে তাঁর মধুর সম্পর্ক। এঁর কাছেই আসেন জগন্নাথ।