জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষে এই বিশেষ জৈন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই পর্বকে বলে পর্যুসান পর্ব। তবে এই পর্ব জৈনদের যে দুটি গোষ্ঠী আছে-- শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর-- তারা দুরকম ভাবে পালন করে। যেমন শ্বেতাম্বরেরা এটি ৮ দিন ধরে পালন করেন, আবার দিগম্বরেরা এটা পালন করে ১০ দিন ধরে। এই পরবটির ভিন্ন আর একটি নাম আছে-- দাস লক্ষণ পর্ব। ৮ দিনের পর্বটি গণেশ চতুর্থীতে গিয়ে শেষ হয়, আর ১০ দিনের পর্বটি শেষ হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিনে। এই অনন্ত চতুর্দশীকে জৈন ক্যালেন্ডারে সম্বৎসরী বলা হয়ে থাকে। এ বছর এই পর্যুসান পর্ব শুরু হচ্ছে আজ, ২৪ অগস্ট থেকে। শেষ হবে ১ সেপ্টেম্বরের। কী এই পর্ব? জৈন ধর্মে এ হল ক্ষমা ও অনুতাপের লগ্ন। এই ৮ বা ১০ দিন উপবাস করতে হয়। নিজের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করতে হয়, মানে, একরকম আত্ম-অনুশোচনা করে যেতে হয়। মহাবীরের মা ত্রিশলার স্বপ্ন সত্য হওয়ার পর্ব এই আয়োজন। আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সেই স্বপ্নই বাস্তবায়িত হয় এই দিনগুলিতে।
আরও পড়ুন: Guru Pushya 2022: ১৫০০ বছর পর এই অতি বিরল তিথিযোগ! এবার আপনিই ভেবে দেখুন কীভাবে এটা কাজে লাগাবেন...
কেননা, এর ঠিক পরেই সেই মহালগ্ন। মহাবীরের আবির্ভাব। আবার ১০ দিনের পর্বের শেষতম দিন, মানে অন্তত চতুর্দশীর দিনটিও বিশেষ, এদিনই নির্বাণ লাভ করেছিলেন বসুপুজ্য। এই গোটা পর্বের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল-- ক্ষমাবাণী। জৈন সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদিন তাঁদের অতীতকৃত অজানা অন্যায়ের জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। এই দিনটিতেই তাঁরা তাঁদের মন থেকে সমস্ত অপচিন্তা, সমস্ত কুঅভ্যাস সমূলে ত্যাগ করার সংকল্প করেন।
এমনিতেই জৈন ধর্মের মূল বাণীই হল ক্ষমা ও অহিংসা। সকলের মধ্যে ঈশ্বরের মহিমান্বিত উপস্থিতিকে অন্য ভাবে উদযাপন করেন এই ধর্মানুসারী মানুষজন। ক্ষমা, প্রেম, অহিংসা, সত্যের পথেই সিদ্ধি। নানা ব্রতের পথ ধরে সেই লক্ষের দিকেই যাত্রা।