Home> লাইফ স্টাইল
Advertisement

গা ঘিনঘিন করে উঠবে...কিন্তু এভাবে তৈরি 'নোংরা' চাউ-ই আপনি রোজ খাচ্ছেন!

কাজের ফাঁকে পেট চুঁই চুঁই।  খিদে মেটাতে হাজির ছোট বড় অগুনতি দোকান। চাইলেই মিলছে সুস্বাদু চাউমিন। কিন্তু জানেক কি? রান্নার আগেই কীভাবে তৈরি হচ্ছে কাঁচা চাউমিন? কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সেইসব কারখানার অন্দর মহল?

গা ঘিনঘিন করে উঠবে...কিন্তু এভাবে তৈরি 'নোংরা' চাউ-ই আপনি রোজ খাচ্ছেন!

ওয়েব ডেস্ক : কাজের ফাঁকে পেট চুঁই চুঁই।  খিদে মেটাতে হাজির ছোট বড় অগুনতি দোকান। চাইলেই মিলছে সুস্বাদু চাউমিন। কিন্তু জানেক কি? রান্নার আগেই কীভাবে তৈরি হচ্ছে কাঁচা চাউমিন? কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সেইসব কারখানার অন্দর মহল?

অফিসের শেষে, কলেজের ফাঁকে গরম গরম এক প্লেট চাউমিনের কোনও তুলনাই হয় না....খিদের পেটে গপগপ করে চাউ। অফিস পাড়া, স্টেশন চত্বর ছাড়িয়ে শহরের মোড়ে মোড়ে রমরমিয়ে চলছে এমন ছোট-বড় চাউমিনের দোকান। চিন দেশের এই খাবার অবশ্য তৈরি হচ্ছে মহানগরীরই অখ্যাত সব কারখানায়। সেইসব কারখানার ছবি দেখলে চোখ  কপালে উঠবে.....

fallbacks

মধ্য কলকাতায় এমনই একটি চাউ কারখানা। অফিস পাড়ার বিভিন্ন দোকানে এখান থেকেই চাউ যায়। ঢুকতেই ইঁদুর, রয়েছে বেড়ালও। চাউ তৈরির গোটা প্রক্রিয়াটাই অস্বাস্থ্যকর, নোংরা। চাউয়ের ময়দা মাখা হচ্ছে চৌবাচ্চার নোংরা জল দিয়ে। স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নোংরা হাতেই তা মাখছেন কারখানার কর্মীরা। মাথায় টুপি, হাতে দস্তানা তো দূরস্থান, কর্মীদের গায়ে জামাও নেই। চাউমিন তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে পচা ডিম। গোটা কারখানাটাই ঝুলে ভর্তি, নোংরা, অস্বাস্থ্যকর। চাউ বানানোর মেশিনটি কখনও পরিষ্কার করা হয়েছে বলে মনে হয় না।

fallbacks

হ্যাঁ এভাবেই ঘাম, ঝুল, নোংরা জল, পচা ডিম মিলেমিশে তৈরি হচ্ছে মুচমুচে নুডলস। এখানেই শেষ নয়... কীভাবে চাউসেদ্ধ হচ্ছে, তা দেখলেও গা ঘিনঘিন করে উঠবে। স্টিমারে যে কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে তার চেহারাটা না দেখাই ভালো! দেখলে আপনি আর সেই চাউ খাবেন না। এরপর নোংরা টেবিলে রাখা হচ্ছে তৈরি হওয়া চাউ। কখনও আবার মাটিতেই ডাঁই করে রাখা হচ্ছে। তারপর কারখানা কর্মীরা এই চাউ পৌছে দিচ্ছেন অফিস পাড়ার বিভিন্ন  দোকানে।

fallbacks

এবার ভেবে দেখুন, অফিস ব্রেকে দুপুরে কি সন্ধ্যায়, এই চাউ আপনি খাবেন কিনা?
 

Read More