জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কিচেন বা রান্নাঘর হল গৃহস্থের শক্তির উৎসস্থল। খেয়ে পুষ্টিলাভ করে সে সংসারের বাইরের সমস্ত কাজকর্ম করে। সেই হিসেবে রান্নাঘর হল যে কোনও সংসারের শক্তির কেন্দ্র। বাস্তু মোটামুটি বাড়ির গোটা চত্বরেই মেনে চলা উচিত। তবে এর মধ্যে বেডরুম, কিচেন, ওয়াশরুম একটু বেশি মনোযোগ দাবি করে। রান্নাঘরের ক্ষেত্রে বাস্তুশাস্ত্রে বেশ কিছু নিয়মের কথা আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়, একটা সুখী সংসারের পক্ষে এই নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি। না হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: Transit of Venus: সাবধান! কদিন পরেই শুক্রের গোচর; কাদের উপর পড়বে ভয়ংকর অশুভ প্রভাব?
রান্নাঘরে বাসনপত্র সঠিকভাবে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করা হয়। রান্নাঘর সংক্রান্ত বাস্তুশাস্ত্রে সব বাসনপত্র ছেড়ে বিশেষ করে কড়াই ও তাওয়া সংক্রান্ত নিয়মই আলোচনা করা হয়েছে বেশি।
বলা হয়, রান্নাঘরে তাওয়া ও প্যান কখনও উল্টে রাখতে নেই। বিশ্বাস করা হয়, প্যানের সঙ্গে রাহুর সম্পর্ক আছে। তাওয়া ও প্যান উল্টে রাখলে রাহু ক্রুদ্ধ হন।
প্যান ব্যবহারের পরে তা ধুয়ে তুলে রাখাই বিধি। রান্নার পরে প্যান পরিষ্কার করতে কখনওই ভোলা উচিত নয়। অপরিষ্কার তাওয়া বা প্যানে রান্না করা ভালো নয়। এর সঙ্গে সরাসরি সাংসারিক কল্যাণের যোগ রয়েছে।
উনানে যখনই প্যানটি ব্যবহারের জন্য রাখা হবে, তখনই তাতে কিছু নুন দেওয়া উচিত।
রান্না করার পরেই তাওয়া বা প্যান সঙ্গে সঙ্গে আঁচ থেকে নামিয়ে ফেলতে হয়।
তাওয়া ও কড়াই পরিষ্কার করতে কখনও ধারালো জিনিস ব্যবহার করতে নেই।
গরম প্যানে বা কড়াইতে কখনওই জল ঢালা উচিত নয়। বলা হয়, জল ঢাললে বাষ্প ওঠে এবং তা নেতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে। এর জেরে জীবনে নানা ধরনের সংকট আসতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: Guru Purnima: জেনে নিন গুরুপূর্ণিমার দিনে কী কী করা কোনও ভাবেই উচিত নয়, কোন কাজটি মহাপাপের সামিল...
রান্নাঘর হল যে কোনও বাড়ির পাওয়ার হাউস। রান্নাঘর আক্ষরিক অর্থেই যে কোনও গৃহের এনার্জির কেন্দ্রও। ফলে সেখানকার মঙ্গল-অমঙ্গল নিয়ে ভাবনা-চিন্তাটা থাকা স্বাভাবিক।