নিজস্ব প্রতিবেদন— করোনাভাইরাসের ধাক্কায় জেরবার দেশের অর্থনীতি। তার উপর গোটা দেশে লকডাউন। থমকে গিয়েছে সব। লকডাউনের জেরে একের পর এক সংস্থা লোকসানের ঝাঁকুনি সামলাচ্ছে। শিল্প সংস্থাগুলিও ধুঁকছে। এমন অবস্থায় তাদের আয় অন্তত ৩০ শতাংস হ্রাস পেলে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ— এর তালিকাভুক্ত সেরা ১০০টি কোম্পানির মধ্যে ২৭টি কর্মীদের বেতন দিতে পারবে না। এমনই জানাচ্ছে বহুজাতিক সংস্থা Deloitte-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষা। ফলে ওই ২৭টি সংস্থায় কর্মী ছাঁটাই প্রায় নিশ্চিত বলেই জানাচ্ছে Deloitte.
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ— এর তালিকাভুক্ত সেরা ১০০টি কোম্পানির উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। বাজার মূল্যের নিরিখে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, যে কোনও ক্ষেত্রেই এখন চাহিদা তুলনামূলক কম। ফলে জোগানের প্রয়োজনও নেই।। দেশজুড়ে বহু সংস্থা রয়েছে যাঁরা এই দুঃসময়ে লোকসানে জেরবার। সেইসব সংস্থাগুলিও কর্মীদের বেতন দিতে সমস্যায় পড়বে। তবে দেশের সেরা ২৭টি সংস্থার এমন দুরাবস্থা অবশ্য উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে বহু মানুষের চাকরি নিয়ে টানাটানি হবে, সে কথা আগেই জানা গিয়েছিল। করোনা পরিস্থিতিতে কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই রাস্তা যে কোনও সংস্থাকে নিজে থেকেই খুঁজে নিতে হবে বলে জানিয়েছে Deloitte.
আরও পড়ুন— মহারাষ্ট্রের ২ জেলায় গ্রেফতার তবলিঘি জামাতের ২০ বিদেশি সদস্য
লকডাউনের জেরে শুধুমাত্র এপ্রিল মাসে ৯.৮ লক্ষ কোটি টাকার GVA ক্ষতি হবে বলে জানা গিয়েছে। করোনার থাবায় ২০২১ আর্থিক বর্ষে দেশের ১২.১ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল SBI Ecowrap. প্রতিটি ক্ষেত্রে যে কোনও সংস্থা এখন লোকসানের মুখে দাঁড়িয়ে। কলকারখানা থেকে শুরু করে বিমান চলাচল, সবই বন্ধ। দেশের আর্থিক প্রগতির চাকা যেন থমকে গিয়েছে।