Bank Manager Death: কাজের চাপে ইস্তফা, তাও ছাড়তে নারাজ ব্যাংক! পুণেতে চরম পদক্ষেপ বাঙালি ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের..

Bank Manager Death: পুনের বারামাটি শহরে ব্যাংক অফ বরোদায় শাখায় চিফ ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন শিবশংকর মিত্র। বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাংক চত্বরেই আত্মহত্যা করেন তিনি।

জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কাজের চাপ আর সহ্য করতে পারছিলেন না। 'সম্ভব হলে আমার চোখ দান করে দিও', আত্মঘাতী বাঙালি ব্য়াংক ম্যানেজার। মিলল সুইসাইড নোটও। ঘটনাটি ঘটেছে পুণেতে।

পুলিসের সূত্রে খবর, মৃতের নাম শিবশংকর মিত্র। প্রবাসী বাঙালি। বাড়ি, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। পুণের বারামাটি শহরে ব্যাংক অফ বরোদায় শাখায় চিফ ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন শিবশংকর। বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাংক চত্বরেই আত্মহত্যা করেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস।  মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সুইসাইড নোটে কাজের চাপকেই আত্মহত্যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করে গিয়েছেন শিবশংকর।

পুলিস ইন্সপেক্টর বিলাস নালে জানিয়েছেন, 'শারীরিক অসুস্থতা ও কাজের চাপের জন্য ১১ জুলাই চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শিবশংকর। আমরা ব্য়াংক থেকে ইস্তফাপত্রের কপি পেয়েছি'। কিন্তু বিনা নোটিশে চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়া যায়নি। ৯০ দিনের নোটিশ দেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই কারণে শিবশংকরের ইস্তফাপত্র তাত্‍ক্ষনিকভাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেনি বলে জানা গিয়েছে। তাতেও কি মানসিক চাপ আরও বেড়ে গিয়েছস বাকি ব্য়াংক থেকে অন্য় কোনও চাপও আসছিল? খতিয়ে দেখছে পুলিস।

এদিকে সুইসাইডে নোটে অবশ্য কাউকে দায়ি করেননি আত্মঘাতী ব্যাংক ম্যানেজার। পুলিস ইন্সপেক্টর বিলাস নালে জানিয়েছেন, 'কাজের চাপের কারণেই যে আত্মহত্যা, তা স্পষ্ট বলে গিয়েছেন তিনি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে কর্মীদের উপর বোঝা না চাপানোর অনুরোধও করেছেন'।  সুইসাইড নোটে স্ত্রী ও মেয়ের কাজে ক্ষমা চেয়েছেন শিবশংকর। লিখেছেন, 'সম্ভব হলে আমার চোখ দান করে দিও'। ব্যাংকে যাঁরা উঁচুপদে চাকরি করেন, তাঁদের কতটা মানসিক চাপ সহ্য় করতে হয়, এই ঘটনা ফের তা প্রমাণ করল।

আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ... 
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭
২৪x৭ টোল-ফ্রি মানসিক স্বাস্থ্য পুনর্বাসন হেল্পলাইন-- কিরণ (১৮০০-৫৯৯-০০১৯)