Home> দেশ
Advertisement

যোগীর রাজ্যে বাঁদরকে দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ড! মদ্যপ অবস্থায় হামলা করার অভিযোগ

ওই অঞ্চলের আড়াইশো জনকে কামড়ে, আঁচড়ে হামলা করেছে বাদরটি। 

যোগীর রাজ্যে বাঁদরকে দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ড! মদ্যপ অবস্থায় হামলা করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদন- যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে এবার এক বাদরকে দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ড। ওই বাঁদরের বিরুদ্ধে ২৫০ জন মানুষকে হামলা করার অভিযোগ ছিল। তাও আবার মদ্যপ অবস্থায়। ওই বাঁদরের উৎপাতে গত কয়েকদিনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল স্থানীয় মানুষ। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিসের কাছে বারবার অভিযোগ জানাচ্ছিলেন সেখানকার মানুষ। কালুয়া নামের সেই বাঁদর থাকত মির্জাপুর জেলায়। ওই অঞ্চলের আড়াইশো জনকে কামড়ে, আঁচড়ে হামলা করেছে বাদরটি। বন দপ্তর ও কানপুরের চিড়িয়াখানার একটি দল একসঙ্গে কালুয়াকে শেষমেশ পাকড়াও করে। এরপর কালুয়া কে নিয়ে যাওয়া হয় কানপুর চিড়িয়াখানায়। সেখানকার চিকিৎসক বলেছেন, বেশ কিছুদিন আলাদা খাঁচায় একলা রাখা হয়েছিল কালুয়াকে। কিন্তু তার আচরণে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। একইরকমভাবে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠত কালুয়ায

প্রায় তিন বছর চিড়িয়াখানায় থাকার পরও স্বভাবে কোনও পরিবর্তন হয়নি কালুয়ার। শেষমেষ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ কালুয়াকে ছেড়ে দিলে আবার সে মানুষের ওপর আক্রমণ করবে বলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

‌ কীভাবে এমন আক্রমনাত্মক হয়ে উঠল কালুয়া! জানা গিয়েছে, মির্জাপুরে এক তান্ত্রিকের সঙ্গে থাকত কালুয়া। সেই তান্ত্রিক নিয়মিত মদ্যপান করত এবং হালুয়াকেও মদের নেশা ধরিয়ে দিয়েছিল। বছর কয়েক আগে ওই তান্ত্রিক মারা যায়। তারপর কালুয়া উৎপাত শুরু করে। কারণ কালুয়া ততদিনে মদে আসক্ত হয়ে পড়েছে। আর মদ না পেলেই সে মানুষের ওপর আক্রমণ চালাত। 

আরও পড়ুন- মাত্র ১,৫০০ পেনশন তুলবেন, চাপে পড়ে খাটিয়াশুদ্ধ শতায়ু মাকে টানতে টানতে ব্যাঙ্কে নিয়ে এলেন মেয়ে

কালুয়াকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ায় উত্তরপ্রদেশের একাধিক পশুপ্রেমী সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা বলছে চিড়িয়াখানায় আলাদা একটি খাঁচায় কালুয়াকে রাখা হলে এই সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু এভাবে একটি প্রাণীকে হত্যা করার কোনও মানে হয় না। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ অবশ্য সেসব শুনতে নারাজ। তারা ইতিমধ্যে কালুয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। 

Read More