Home> দেশ
Advertisement

Shocking Incident | Temple Demolition : মন্দির ভেঙে ফেলা হবে! যন্ত্রণায় চরম পদক্ষেপ পুরোহিতের, ছেলেকে লিখে গেলেন...

Ahmedabad News : দীর্ঘদিন ধরে মন্দির ভাঙার জন্য মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, চরম পদক্ষেপ নিলেন মহেন্দ্র মিনিকার নামে ওই পুরোহিত। আর নোটে ছেলেকে লিখে গেলেন তার ওপর মানসিক অত্যাচারের কথা। 

Shocking Incident | Temple Demolition : মন্দির ভেঙে ফেলা হবে! যন্ত্রণায় চরম পদক্ষেপ পুরোহিতের, ছেলেকে লিখে গেলেন...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মন্দির অন্ত প্রাণ। তাঁর ধ্যান জ্ঞান ছিল মন্দির। ১৯৭২ সালে তাঁর বাবা, যে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন, এতগুলো বছর ধরে সেই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ এবং পৌরহিত্য তিনি একা হাতে করে গেছেন। এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে একটি জনগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। হয়েছে বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান।  দোকান এবং বসবাসের জায়গা। কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন। হঠাৎ জানতে পারলেন এই মন্দিরটি ভেঙে ফেলতে হবে। যেন বাজ পড়ল মাথায়। 

Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News

দীর্ঘদিন ধরে মন্দির ভাঙার জন্য মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, আত্মহত্যা করলেন মহেন্দ্র মিনিকার নামে ওই পুরোহিত। আর সুইসাইড নোটে ছেলেকে লিখে গেলেন তার ওপর মানসিক অত্যাচারের কথা। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আমদাবাদের কুবের নগর অঞ্চলে। ওই পুরোহিতের ছেলে ব্রিজেশ মিনকার একটি ভিডিও মেসেজে জানিয়েছেন তাঁর বাবার আত্মহত্যার খবর। কর্পোরেশন, বিল্ডার্স এবং কিছু পুলিশ অফিসার দীর্ঘদিন ধরে মন্দির ভেঙে ফেলার জন্য তাঁর বাবাকে হুমকি দিচ্ছিলেন। কিন্তু একেবারেই রাজি ছিলেন না মহেন্দ্র। 

আরও পড়ুন:  গাড়ির ধাক্কায় মহিলা-সহ তিন জনকে পিষে মত্ত বীরপুঙ্গবের গর্জন, 'আর এক রাউন্ড,নিকিতা?'

এই মন্দির ভেঙে ফেলার কথায় তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে। সন্তোষীনগর, যে অঞ্চলটি গড়ে উঠেছে এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে তা মৃত পুরোহিতের জন্মস্থান। ওই জমিটিও তাঁর বাবার। স্বভাবতই তাঁর আবেগ জড়িয়ে ছিল এই মন্দিরকে নিয়ে। পুলিশ ছেলের কথা গুরুত্ব সহকারে শুনেছে এবং একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলার রুজু করেছে। সিভিক বডি এবং কর্পোরেশন জানিয়েছে, কিছুদিন আগে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে ওই মন্দিরে।

আরও পড়ুন:  'ফুটেজ খেতে ফ্লাইটে না নেচে ঠিকঠাক পরিষেবাটা দিলে ভালো হয়!', তোপের মুখে স্পাইসজেট...

আমেদাবাদ মিউনিসিপ্যালিটি কে কাঠগড়ায় তুলেছে তাঁর ছেলে ব্রিজেশ মিনকার। ৪৭৫ টি ঘর এবং ২২ টি কমার্শিয়াল দোকান গড়ে উঠেছে সন্তোষীনগরের এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে। এদের কর্মসংস্থান সরাসরি মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত। ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে কর্পোরেশন জানিয়েছে, স্থানীয় মানুষদের আবেগ এবং অনুভূতিকে তারা আঘাত দিতে চায় না, তাই মন্দিরটি স্বস্থানে থাকবে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

ঘটনার পুলিশি তদন্ত চলছে।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More