জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভুল বডি (victims mortal remains) রিসিভ করেছেন মৃতের পরিবার? আমদাবাদ এয়ার ইন্ডিয়া ক্র্যাশ (Ahmedabad Plane Crash) নিয়ে খবরের পর খবর। এবার সামনে এল এই ভয়াবহ তথ্য। এই ভুলটা ঘটেছে কয়েকজন ব্রিটিশ ভিক্টিমের দেহকে কেন্দ্র (bodies of the British victims of the Air India crash) করেই। রিপ্যাট্রিয়েশন প্রসেসে ( repatriation process) ভুলের জন্যই এমন ঘটেছে। প্রসঙ্গত গত ১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে দুর্ঘটনা (Air India crash) ঘটেছিল। প্রসঙ্গত, অন্তত ১২টি দেহ এই রিপ্যাট্রিয়েশন প্রসেসের অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন: Sawan Month Zodiac 2025: এই শ্রাবণে শিবের আশীর্বাদে সৌভাগ্যের সুনামি! মহাদেবের কৃপায় বদলে যাবে কোন কোন রাশির ভাগ্য?
কী ঘটেছে?
কী ঘটেছে? ঘটেছে অনেক কিছুই। দেহ মিলেমিশে গিয়েছে, অন্তত সেরকমই অভিযোগ। তাই এক হতভাগ্যের স্বজনেরা ফিউনারালে এসেও ফিরে চলে যান বলে খবর। ওদিকে অন্তত দুজনের দেহ একই কফিনে বন্দি করা হয়েছে এবং তা এক ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
ভয়ংকর অভিযোগ
হ্যাঁ, জানা গিয়েছে, আমদাবাদ এয়ার ইন্ডিয়া ক্র্যাশের পরে দুর্ঘটনায় মৃতদের যেসব দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং যা শনাক্ত করা গিয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু তা থেকেই নতুন সংকটের উৎপত্তি। পরিবারের কাছে নাকি ভুল দেহ গিয়েছে। পরিবারের জমা দেওয়া ডিএনএ স্যাম্পলের সঙ্গে আগত-দেহাংশের ডিএনএ মিলিয়েই নাকি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এবং এই সংকটের জল এতদূর গড়িয়েছে যে, মনে করা হচ্ছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ফোন করতে পারেন নরেন্দ্র মোদীকে।
দেহ-শনাক্ত
আমদাবাদ প্লেন দুর্ঘটনায় যে কজন মারা গিয়েছিলেন তার মধ্যে ৫২ জন ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। ফলে রিপ্যাট্রিয়েশন প্রসেস সঙ্গে সঙ্গে শুরু করা হয়েছিল। দেহ চেনার কাজটা সত্যিই খুব কঠিন ছিল। কেননা, জানা গিয়েছিল, দুর্ঘটনার সময়ে ১৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা তৈরি হয়েছিল ওখানে! ভয়ংকর!
পাইলটের ঘাড়ে দোষ
প্রসঙ্গত, কদিন আগেই এক ভয়ংকর তথ্য সামনে আসে। ১২ জুন লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটি আমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ামাত্র অনতিদূরেই ভয়াবহভাবে ভেঙে পড়েছিল। এর কিছুদিন আগে ককপিট অডিও রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, বিমানের ক্যাপ্টেন হয়তো টেক অফের কয়েক সেকেন্ড পরেই ইঞ্জিনের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিলেন! তবে এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান পাইলট (Federation of Indian Pilots)। সংগঠনের সভাপতি সি এস রণধাওয়া বলেছেন, এটি পাইলটকে দোষারোপ করার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চেষ্টা। সম্প্রতি প্রকাশিত এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর প্রাথমিক প্রতিবেদনে কোথাও পাইলট ত্রুটির কথা বলা হয়নি। আরও বলা হয়, প্রমাণ ছাড়া একজন পাইলটের ঘাড়ে দোষ চাপানো অনৈতিক ও বিপজ্জনক। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের মন্তব্য আত্মবিশ্বাস ও বিচার প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। AAIB-র তদন্ত এখনও চলছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হলে আরও পরিষ্কার তথ্য জানা যাবে। তবে এই দুর্ঘটনা ঘিরে বহু প্রশ্ন উঠছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)