Home> দেশ
Advertisement

Allahabad High Court: স্তন খামচে সালোয়ারেরর দড়ি ছিঁড়েছে, তো! এটা মোটেই ধর্ষণ নয়: হাই কোর্ট

Shocking judjement of Allahabad High Court: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান যে নিগৃহীতা কিশোরীকে কেউ নগ্ন অবস্থায় দেখেননি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করার কোনও অভিযোগ নেই, আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানান।

Allahabad High Court: স্তন খামচে সালোয়ারেরর দড়ি ছিঁড়েছে, তো! এটা মোটেই ধর্ষণ নয়: হাই কোর্ট

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধর্ষণের মামলায় ক্ষেত্রে, স্তনে হাত দেওয়া এমনকী খামচে ধরা, সালোয়ারের দড়ি ছিঁড়ে ফেলা--এগুলো কোনও কিছুই ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টা হিসেবে গণ্য হবে না। এটি শুধুমাত্র যৌন নির্যাতন হিসেবে সামিল হবে। এলাহাবাদ হাইকোর্ট এমনই চমকে দেওয়ার মতো রায় দিয়েছে।

Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News

উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে পবন এবং আকাশ,দুই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ১১ বছর বয়সী এক নাবালিকার স্তন খামচে,সালোয়ারের  দড়ি ছিঁড়ে একটি কালভার্টের নিচে টেনে নিয়ে যাওয়ার। পথচারীদের হস্তক্ষেপে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ২০২১ সালের ঘটনাটি ঘটেছিল। অভিযুক্তরা ওই কিশোরীকে লিফট দেওয়ার প্রস্তাব দেয় এবং তারপরেই সেই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: ভুজিয়া কোম্পানির নাম 'চু*য়ারাম'! কী করে পায় রেজিস্ট্রেশন? তুলকালাম...

কাশগঞ্জ ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশে পবন ও আকাশকে প্রথমে ধর্ষণের জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় যৌন অপরাধ, শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের ১৮ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রের একটি বেঞ্চ অভিযুক্তদের ৩৫৪-বি ধারায় (আক্রমণ বা জামাকাপড় খুলে ফেলার উদ্দেশ্যে ফৌজদারি বলপ্রয়োগ) এবং পকসো আইনের ৯/১০ ধারায় (যৌন নিপীড়ন) এ অভিযুক্ত করেন।

আরও পড়ুন: অতুল-মানবের ছায়া ক্রমশ চওড়া! 'বউ আমাকে মেরে ফেলবে...', নিপীড়নের আতঙ্কে চরম পদক্ষেপ চলচ্চিত্রকর্মীর...

আদালত জানান, অভিযুক্ত পবন ও আকাশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এবং মামলার কেস স্টাডি করে যা দেখা যায় তাতে এই ঘটনা ধর্ষণের চেষ্টার অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ আনার জন্য নিগৃহীতাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে এটি অস্বাভিক ঘটনা। অপরাধের চেষ্টা এবং অপরাধ ঘটানোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। 

বিচারক তাঁর রায়ে জানান যে, কোনও পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ থেকে অনুমান করা যায় না যে অভিযুক্ত ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। অভিযুক্ত আকাশের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যে সে নিগৃহীতাকে কালভার্টের নিচে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং তার পায়জামার দড়ি খুলেছিল। 

আরেক অভিযুক্ত পবনের বাবা অশোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঘটনার পর অভিযোগকারী যখন তাঁর কাছে যান, তখন সে তাকে গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দেন। তাই, অশোককে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৫০৪ ( ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান) এবং ৫০৬ (ফৌজদারি ভীতি প্রদর্শন) ধারার অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More