ওয়েব ডেস্ক: এ যেন একই ঘটনার অ্যাকশান রি-প্লে। তিন বছর আগে, ২০১৩ সালে বছর সাতেরোর তরুণীকে গণধর্ষণ করে ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল ৫ ধর্ষক। আবারও, হরিয়ানার রোহতকের ২০ বছর বয়সী, সেই দলিত যুবতীকেই কলেজ থেকে ফেরার পথে গাড়িতে তুলে অচৈতণ্য করে গণধর্ষণ করেছে সেই পাঁচ যুবক বলে অভিযোগ এবং ধর্ষণের পর রাস্তার ধারের একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়।
তিন বছর আগের ঘটনার সময় ধর্ষিতা দলিত যুবতীর পরিবার থাকত হরিয়ানার ভিওয়ানি অঞ্চলে। বাড়ির মেয়ে গণধর্ষিতা হওয়ায়, সামাজিক সম্মানের কথা মাথায় রেখে পরিবারটি চলে এসেছিল হরিয়ানারই রোহতক এলাকায়। কিন্তু, এলাকা ছাড়লে কী হবে, ধর্ষকদের লালসার হাত থেকে রেহাই মিলল কোথায়?
ধর্ষিতার পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ধর্ষকদের সকলেরই কুড়ির ঘরে বয়স। তারা সকলেই জামিনে মুক্ত রয়েছে বর্তমানে।
ধর্ষিতার পরিবারের তরফে আরও দাবি যে, এই পাঁচ ধর্ষকই অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল পরিবারের। এরা ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ২০১৩ সালের গণধর্ষণের মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে চাপ দেয় ওই দলিত পরিবারকে। সেই মামলা তুলে না নেওয়ার জন্যই আবারও গণধর্ষণ করা হল বলে অভিযোগ পরিবারের।
পুলিস জানিয়েছে, নির্যাতিতাকে গত বুধবার রোহতকের সুখপুরা এলাকার একটি ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি এখন একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। স্থানীয় পুলিস অফিসার গরিমা জানিয়েছেন, "আমরা এখন একটা এফআইআর দায়ের করব। তারপর ভিওয়ানি এলাকায় পুলিসের একটি দলকে পাঠানো হবে অভিযুক্তদের সন্ধানে।"