Indian Army jawan arrested: সর্ষের মধ্যে ভূত, সেনা জওয়ানই পাকিস্তানের চর! পুলিসের জালে...

Pak Spy: গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এক বড় অভিযানে, অমৃতসর গ্রামীণ পুলিস পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI) এর সঙ্গে যুক্ত গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। দুই অভিযুক্তদের নাম গুরপ্রীত সিং ওরফে গোপি ফজি এবং সাহিল মসিহ ওরফে শালি।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এ যেন ঠিক ঘরের শত্রু বিভীষণ! আর্মির বেশে দুই পাকিস্তানি চর। পুলিসের হাতে গ্রেফতার দুই। জানা গিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় এক বড় অভিযান। তাতেই অমৃতসর গ্রামীণ পুলিস পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI)এর সঙ্গে যুক্ত গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের নাম গুরপ্রীত সিং ওরফে গোপি ফজি এবং সাহিল মসিহ ওরফে শালি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গুরপ্রীত সিং পাকিস্তানের ISI-এর কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখেছিল এবং পেন ড্রাইভের মাধ্যমে সংবেদনশীল ও গোপনীয় তথ্য ভাগাভাগি করার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল। মামলায় জড়িত মূল ISI হ্যান্ডলারের নাম রানা জাভেদ।

ISI এর কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহত্তর গুপ্তচরবৃত্তি-সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলা এবং সমস্ত সহযোগীদের সনাক্ত করার জন্য তদন্ত চলছে।

পঞ্জাবের ডিজিপি গৌরব যাদব জানিয়েছেন, গুরপ্রীত সিং ওরফে গোপি ফজি ISI এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। তিনি বলেন, 'গোপি ফজির কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। যেগুলিতে ভার্চুয়াল নম্বর ব্যবহার করে ISI-র এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। তদন্ত চলছে, যাতে এই গোয়েন্দাগিরি ও সন্ত্রাস-সম্পৃক্ত বড় চক্রটিকে ভেঙে ফেলা যায় এবং এর সঙ্গে জড়িত সব সহযোগীদের শনাক্ত করা যায়।'

পাতিয়ালা সিনিয়র পুলিস সুপার মনিন্দর সিং জানান, গুরপ্রীত সিং ওরফে গোপি ফজি ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এবং ধীরে ধীরে ফজি তাঁর দায়িত্ব ও অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং পেন ড্রাইভ ও ডিস্কের মাধ্যমে তা পাচার করতে থাকেন।

পুলিস আরও জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে যে এই গুপ্তচরের নেটওয়ার্কটি পরিচালনা করছিল দুবাই ভিত্তিক এক মাদক পাচারকারী অর্জন। যার আসল বাড়ি ধারিওয়াল গ্রামে। পাঁচ মাস আগে অর্জনই গুরপ্রীতকে ISI-এর এজেন্টদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।

ডিএসপি আরও জানান, এরপর থেকে গুরপ্রীত নিয়মিত সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য বেআইনিভাবে সংগ্রহ করে নির্ধারিত ‘ড্রপ লোকেশন’-এর মাধ্যমে ISI-র কাছে পাঠিয়ে আসছিল। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের আরও কুশীলবদের শনাক্ত করতে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে। গোটা নেটওয়ার্ক উন্মোচনের কাজ চলছে।