নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি। শনিবার আরও ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যচ্ছে। ফলে এনিয়ে রাজ্যে বন্যার বলি হলেন ৫৪ জন। এমনটাই জানিয়েছে অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
রাজ্যের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৮ জেলার ১৮.৯৪ লাখ মানুষ। মৃত্যুর খবর এসেছে হোজাই, নলবাড়ি, বাজালি, ধুবরি, কামরূপ, কোকরাঝাড় ও সোনিতপুর জেলা থেকে। কমপক্ষে ৩০০০ গ্রাম এখন বন্যার কবলে। জলে ডুবেছে ৪৩,৩৩৮ হেক্টর ফসলের জমি। তবে সমস্যার কারণ হল টানা বৃষ্টি।
এদিকে, বিভিন্ন এলাকা থেকে জল না নামার একটি অন্যতম কারণ হল বেকি, মানস, পাগলাদিয়া, পুথিমারি, জয়ভারলি, কোপলি ও ব্রহ্মপুত্রের জল না নামা। সবকটি নদীর বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ১,০৮,১০৪ জনকে ৩৩৭টি রিলিফ ক্য়াম্প নিয়ে য়াওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ভাজালি জেলাতেই বন্যা দুর্গত হয়েছেন ৩.৫৫ লাখ মানুষ। এর পরেই রয়েছে দারাংয়ের ২.৯০ লাখ ও গোয়ালপাড়ার ১.৮৪ লাখ মানুষ।
অসমে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে উত্তরপূর্ব ভারতের যোগাযোগকারী এই সড়কটির একটি লেন দিয়েই যান চলাচল করছে। অগ্নিপথ বিক্ষোভে অনেকেই অসম থেকে দেশের অন্যান্য অংশে যেতে সমস্যায় পড়ছেন। পাশাপাশি, জাতীয় সড়ক দিয়ে যেতেও সমস্যায় পড়ছেন তারা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা নামানো হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। খুবই খারাপ পরিস্থিতি নলবাড়ি জেলার। অধিকাংশ নদীই বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে চলায় রোজই একাধিক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আরও সমস্যা বাড়িয়েছেন ভুটান ও মেঘালয়ের বৃষ্টি। চেরাপুঞ্জিতে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। সেই জল অসমে ঢুকছে।
আরও পড়ুন-এই ১০ প্রশ্নের উত্তর দিলেই সৌরভের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ