জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কয়েকদিন আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ঘোষণা করেন দেন রাজ্যের যেসব পুরুষ ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে করেছেন তাদের আগামী ৬ মাসের মধ্যেই গ্রেফতার করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা করা হবে। আগামিকাল অর্থাত্ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সেই অভিযান।
আরও পড়ুন-CBI-এর বদলে ইংল্যান্ডের MI5-এর উপর এবার ভরসা করতে হবে! কড়া তিরস্কার বিচারপতির
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন নাবলিকা বিয়ের তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের ৪০০৪ যুবক। জেলা অনুযায়ী তাদের তালিকাও তৈরি করে ফেলেছে সরকার। সবেথেকে বেশি কেস রয়েছে ধুবড়িতে। ৩ ফেব্রুরি থেকে ওইসব লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এনিয়ে টুইট করে অসম পুলিসের তৈরি করা একটি তালিকা শেয়ার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেখানে তিনি লিখেছেন, রাজ্যে নাবালিকা বিয়ের শেষ দেখে ছাড়বে সরকার। অসম পুলিস ইতিমধ্য়েই ৪০০৪ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে। আরও অনেকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবাইকে অনুরোধ পুলিসকে সহযোগিতা করুন। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অভিযান শুরু হবে।
অসম পুলিসের তালিকা অনুয়ায়ী সবচেয়ে বেশি নাবালিকা বিয়ের কেস রয়েছে ধবুড়িতে(৩৭০), এরপরেই রয়েছে হোজাই(২৫৫), উদালগুড়ি(২৫৫) জেলায়। গুয়াহাটি পুলিস কমিশনারেটে রয়েছে এরকম ১৯২টি মামলা।
Assam Govt is firm in its resolve to end the menace of child marriage in the state.
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) February 2, 2023
So far @assampolice has registered 4,004 cases across the state and more police action is likely in days ahead. Action on the cases will begin starting February 3. I request all to cooperate. pic.twitter.com/JH2GTVLhKJ
অপরিণত বয়সে বিয়ে ও মাতৃত্ব রুখতে কড়া আইন আনার কথা ঘোষণা করেছে অসম সরকার। যারা অপ্রাপ্তবস্ক মেয়েদের বিয়ে করবেন সেইসব পুরুষদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। যেসব পুরুষ ১৪-১৮ মধ্যে মেয়েদের বিয়ে করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্য়বস্থা নেওয়া হবে। সোমবার এই মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে অসম মন্ত্রিসভায়।
শনিবার এক অনুষ্ঠানে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, আগামী ৫-৬ মাসে রাজ্যের কয়েক হাজার মহিলার স্বামী গ্রেফতার হবেন কারণ তারা ১৪ বছরের নীচে কোনও কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা অপরাধ। স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের ক্ষেত্রেই আই আইন বলবত হবে।
দেশে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর। কিন্তু ভারতের মতো দেশে এখনও হাজার হাজার মেয়ের ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যায়। সেই বিয়ের পেছনে অনেক কারণই থাকতে পারে। অসম সরকারের বক্তব্য, এসব চলবে না। যেসব পুরুষ অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিয়ে করবে তাদের জেল হবে।