জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাবা-মায়ের পরই একজন পড়ুয়ার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকেন একজন শিক্ষক। একজন শিক্ষক বা গুরু জীবনের পথপ্রদর্শক, গাইড হিসাবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই ধারণা যেন একেবারেই দুঃস্বপ্নের মত হয়ে দাঁড়াল।
দুই শিক্ষক-সহ তাদের এক বন্ধু মিলে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় রীতিমত শিড়দাঁড়ায় ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাবে। অভিযুক্তরা হল- ফিজিক্সের অধ্যাপক নরেন্দ্র, আরেকজন বায়োলজি অধ্যাপক সন্দীপ এবং অন্যজন তাদের বন্ধু অনুপ একজন প্রাইভেট কলেজে কর্মচারী। ওই কলেজেরই ছাত্রী নির্যাতিতা।
হাড়হিম ঘটনাটি ঘটে বেঙ্গালুরুতে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম ঘটনাটি ঘটে যখন নরেন্দ্র নির্যাতিতাকে নোটস দেওয়ার নামে বেঙ্গালুরুতে ডেকে পাঠায়। এরপর নির্যাতিতার সঙ্গে চ্যাট করে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারপর আর এক অভিযুক্ত অনুপের বাড়িতে ডেকে তাকে ধর্ষণ করে।
কয়েকদিন পর, আরও এক অভিযুক্ত সন্দীপ নির্যাতিতার অসহায়তার সুযোগ নেয়। বাধা দিলে, সে নির্যাতিতাকে ব্ল্যাকমেল করে বলে যে তার কাছে নরেন্দ্রর সঙ্গে ব্যক্তিগত ভিডিয়ো আছে। তারপর অনুপের বাড়িতেই তাকে আবার ধর্ষণ করে। এখানেই শেষ নয়, এবার আসরে নামে অনুপ। সে নির্যাতিতাকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে তার ঘরে গিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেল করে। এবং ধর্ষণ করে। একাধিকবার ধর্ষিত হওয়ার পর একেবারে ভেঙে পড়ে নির্যাতিতা।
বেঙ্গালুরুতে ছাত্রীর বাবা-মা তার সঙ্গে দেখা করতে যায়। বাবা-মাকে দেখে একেবারে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। নির্যাতনের সব কথা খুলে জানায় তাদের। পরিবার কর্ণাটক রাজ্য মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয় এবং তারপর মারাঠাহল্লি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ইতোমধ্যেই দুই শিক্ষক এবং অনুপকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
বেঙ্গালুরুর ইস্ট ডিভিশনের জয়েন্ট কমিশনার বলেন, '৫ জুলাই ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা মহিলা কমিশনের থেকে খবর পাই। ইতোমধ্যেই আমরা নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করে নিয়েছি।'
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)