জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গুজরাট সরকারের সুপারিশে মুক্তি পেয়েছে বিলকিস বানোর ধর্ষণ ও তার পরিবারের ১৪ জনকে খুনের মামলায় ১১ সাজাপ্রাপ্ত। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের যে বড় ভূমিকা ছিল তা পরে প্রকাশ পেয়েছে। অর্থাত্ বিলকিস বানোর ১১ ধর্ষকের মুক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সম্মতিতেই হয়েছে। এনিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী ধর্ষকদের পাশেই রয়েছেন। রাহুলের ওই মন্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী ও গুজরাট সরকারের পাশে খুল্লামখুল্লা দাঁড়িয়ে পড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাতকারে প্রহ্লাদ যোশী বলেন, যা হয়েছে তা আইন মেনেই হয়েছে। সরকার ও বিশিষ্টজন যখন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখন এর মধ্যে ভুল খুঁজতে যাওয়া উচিত নয়। আমি তো এর মধ্যে কোনও অন্যায় দেখি না। এটা আইনের অঙ্গ।
আরও পড়ুন-শিবপুরকাণ্ডে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেন, জালিয়াতি করতে অ্যাপটি নিয়ন্ত্রণ হতো নাইজিরিয়া থেকে!
২০০২ সালে গোধরাকাণ্ড পরবর্তী গুজরাট হিংসায় পাঁচ মাসের গর্ভবতী বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়। পাশাপাশি নৃশংসভাবে খুন করা হয় তার পরিবারের ১৪ জনকে। কিন্তু গুজরাট সরকারের দাবি, ওই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন অনেকটা সময় জেলে কাটিয়েছেন। জেলে তাদের আচারআচরণ ভালো। তাই তাদের ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করেছে সরকার। প্রহ্লাদ যোশী বলেন, আইন অনুযায়ী ওই কাজ করা হয়েছে। সিবিআই ওই ধর্ষণের ঘটনাকে অত্যন্ত ঘৃণ্য অপরাধ বললেও প্রহ্লাদ বলেন যা হয়েছে ঠিকই হয়েছে।
কিছুদিন আগেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন গুজরাটের তরুণতুর্কি নেতা হার্দিক প্যাটেল ওইসব ১১ ধর্ষকের মুক্তিকে সমর্থন করেছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, যে কোনও ক্রিমিন্যাল তার শাস্তি পাবে। কিন্তু যাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে তারা ভালো ব্যবহারের জন্য মুক্তি পেয়েছেন।
গুজরাটে প্রচারে গিয়ে ওই কথা বলেছেন প্রহ্লাদ যোশী। তিনি যখন ওই ১১ ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সওয়াল করছিলেন সেই সময় তাঁর পাশেই বসেছিলেন বিজেপির নেত্রী অল্পেস ঠাকুর। তিনি অবশ্য বলেন, আমি এই বক্তব্যকে সমর্থন করি না। জেলে থেকে বের হওয়ার পর ওইসব সাজাপ্রাপ্তদের মিষ্টি খাওয়ানো হয়েছে, এটা খুব লজ্জার।
কাকতালীয় বিষয় হল স্বাধীনতা দিবসে যেদিন লাল কেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের সম্মানের কথা বলছেন সেই দিনই জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন ওই ১১ ধর্ষক।