নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারত থেকে উত্তর-পূর্ব ও অসমকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মতো সংখ্যা রয়েছে মুসলিমদের। এনআরসি ও সিএএ নিয়ে দিল্লির সাহিনবাগের বিক্ষোভে উস্কানিমূলক মন্তব্য করলে শার্জিল ইমাম। ওই বিক্ষোভ সভার মাস্টার মাইন্ড ও জেএনইউ-র প্রাক্তন ছাত্র ইমাম ঘোষণা করেন, ভারত থেকে উত্তর-পূর্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়াই তাদের লক্ষ্য।
উত্তরপূর্বের সঙ্গে বাকি অংশের যোগাযোগ রয়েছে চিকেন নেকের মাধ্যমে। সেই গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগস্থলেই রাস্তা ও ট্রেন অবরোধের ডাক দিয়েছেন ইমাম। তিনি বলেন,''আমরা ৫ লক্ষ মুসলিম একসঙ্গে আসতে পারলে ভারত থেকে উত্তর-পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করে দেব। পাকাপাকিভাবে না হলেও ১-২ মাস তো করতেই পারব। বিক্ষোভকারীদের সরাতে অন্তত ১ মাস তো লাগবেই। অসমকে ভারতকে বিচ্ছিন্ন করে দিলেই কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের কথা শুনতে বাধ্য হবে।''
ভিডিয়ো টুইট করে শার্জিল ইমামের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র। তিনি লিখেছেন, শাহিনবাগের আসল ছবিটা দেখুন- ১. অসম থেকে ভারতকে আলাদা করা আমাদের দায়িত্ব। ২. চিকেন নেক মুসলিমদের। ৩. এত লোক আনতে হবে যাতে ট্রেনে করে ভারতীয় সেনা যেতে না পারে। ৪. সব অমুসলিমদের শর্ত নিয়ে আসতে হবে। এটা দেশদ্রোহিতা নয় তো কী?
दोस्तों शाहीन बाग़ की असलियत देखें:
— Sambit Patra (@sambitswaraj) January 25, 2020
१)असम को इंडिया से काट कर अलग करना हमारी ज़िम्मेदारी
२)”Chicken Neck” मुसलमानो का है
३)इतना मवाद डालो पटरी पे की इंडिया की फ़ौज Assam जा ना सके
४)सारे ग़ैर मुसलमानो को मुसलमानों के शर्त पर ही आना होगा
If this is not ANTI NATIONAL then what is? pic.twitter.com/kgxl3GLwx1
শার্জিল ইমামের বিতর্কিত মন্তব্য ভাইরাল হতেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে শাহিনবাগের বিক্ষোভের আসল উদ্দেশ্য কী? তার জেরে শার্জিল সাফাই দিয়েছেন, শাহিনবাগ বিক্ষোভের লক্ষ্য চাক্কা জ্যাম। বাকি সব কিছু পরে। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ''অবস্থান বিক্ষোভ ও চাক্কা জ্যামের ফারাক বোঝা উচিত। প্রতিটা শহরে অবস্থান বিক্ষোভে বসে চাক্কা জ্যামের কথা বোঝান। পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে রাস্তায় বসে পড়ুন।''
উত্তর-পূর্বকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মতলব রয়েছে চিনেরও। সে কারণে ডোকলামে বেড়েছিল তাদের তত্পরতা। পরে পিছু হটতে বাধ্য হয় বেজিং। সে কথাই শোনা যাচ্ছে শাহিনবাগ বিক্ষোভের মূল উদ্যোক্তার মুখে।
আরও পড়ুন- NRC আতঙ্কে সীমান্তে দিয়ে দেশে ফিরছে বাংলাদেশিরা, সরেজমিনে দেখে এল জি ২৪ ঘণ্টা