নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজামুদ্দিনের ঘটনা নিয়ে এবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে। সংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে রাজ ঠাকরে শনিবার বলেন, নিজামুদ্দিনের তবলিঘি জামাত ফেরতা লোকদের চিকিত্সাই করা উচিত নয়, এদের গুলি করে মারা উচিত।
আরও পড়ুন-বাড়ির ছাদে উঠলেই দেখা যাচ্ছে ২১৩ কিমি দূরের বরফে ঢাকা পাহাড়, শাপে বর লকডাউন!
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যোগ দেন দেশের ২ হাজার মানুষ। ওই সম্মেলনে এসেছিলেন সৌদি আরব, কাজাকাস্থান, মালয়েশিয়া-সহ একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা। সম্মেলনে যারা যোগ দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই ফিরে গিয়েছেন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। বিষয়টি প্রথম সামনে আসে কাশ্মীরের এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর। এনিয়ে এখন তোলপাড় গোটা দেশে। তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ থেকেও গিয়েছিলেন অনেকে। পশ্চিমবঙ্গ যেতে যারা যোগ দিয়েছিলেন তাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাদের আপাতত রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এমএনএস প্রধান বলেন, দেশ এখন ভয়ঙ্কর সংকটের মধ্যে গিয়ে যাচ্ছে। এরকম অবস্থায় ওরা ধর্মটাকেই বড় করে দেখছে। এর মধ্যে যদি কোনও ষড়যন্ত্র থাকে তাহলে তবিলিঘি জামাতে থাকা লোকজনকে চিহ্নিত করতে হবে। তারপর তাদের চাবকাতে হবে। সেই ভিডিয়ো ভাইরালও করা উচিত।
The coroniavirus has created a devastation globally. But unfortunately, a few extremists are playing havoc under these circumstances. Keeping this issue in mind, Raj Thackeray had a candid talk with news channels.
— Raj Thackeray (@RajThackeray) April 4, 2020
Following are the highlights.
|Raj Thackeray Social Media Team pic.twitter.com/GwGAFl870C
রাজ ঠাকরের দাবি, প্রধানমন্ত্রী এনিয়ে বিবৃতি দেওয়া উচিত। দেশে হচ্ছেটা কী!এদের প্রকাশ্য চাবুক মারা উচিত যাতে অন্যদের শিক্ষা হয়। প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে সবচেয়ে আক্রান্ত মহারাষ্ট্র ও কেরল। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০। সু্স্থ হয়েছেন ৫০ জন।
আরও পড়ুন-করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও, দাবি মার্কিন গবেষকের
এদিকে, নিজামুদ্দিনরে তবলিঘি জামাতের বিরুদ্ধে করোনা ছড়ানোর অভিয়োগ নিয়ে পাল্টা বক্তব্যও রয়েছে বিভিন্ন মহল। কোনও কোনও মহল থেকে যুক্তি খাড়া করা হচ্ছে, নিজামুদ্দিনের তবলিঘি জামাতের অনেক আগেই বিদেশে থেকে ফেরানো হয়েছে কয়েক লাখ ভারতীয়কে। বিমানবন্দরে তাদের আটকানো হয়নি। কেন্দ্র, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে বলে, করোনা এদেশে কোনও বিপদের বিষয় নয়। ৩০ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেলেও চিন থেকে কোনও শিক্ষা নেয়নি সরকার। অনেক গাফিলতি আগেই হয়ে গিয়েছে।