জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু শূন্য! ২০২০ সালের মার্চের পরে সারা দেশে ২৪ ঘণ্টার স্প্যানে একটিও মৃত্যু নেই করোনায়। শুধু তাই নয়, ৯ এপ্রিলের পরে এই প্রথম ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণও অনেক কম-- ৬২৫টি! কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে দেশে সংক্রমণ ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৬২ হাজার ১৪১। অ্যাকটিভ কেস ১৪,০২১টি। যা মোট সংক্রমণের ০.০৩ শতাংশ। এই মুহূর্তে ন্যাশনাল কোভিড-১৯ রিকভারি রেট ৯৮.৭৮ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইট বলছে, ইতিমধ্যেই ২১৯.৭৪ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ফেলেছেন দেশবাসী। টিকাকরণ হল সমাজ থেকে করোনা দূর করার অন্যতম হাতিয়ার। সেই অনুযায়ী টিকাকরণ হয়েছে এবং তার সুফলও মিলেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন: World Cancer Awareness Day: সহজে কী ভাবে বুঝবেন ক্যানসার হয়েছে? বাড়িতে বসেই চিনে নিন লক্ষণ...
শেষ হতে চলেছে কি করোনা সংক্রমণ? অন্তত তেমনই ভাবছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা দেখেছে, সাম্প্রতিক বিশ্বে করোনার নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কমছে। এরই প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক অতীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বকে করোনা অতিমারী শেষ করার এই সুযোগ কাজে লাগাতে আহ্বান জানিয়েছে। ২০১৯ সালের শেষ দিকে চিনে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়েছিল। পরে তা মহামারী এবং ক্রমে অতিমারীর রূপ ধারণ করেছিল। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬১ কোটি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মারা গিয়েছেন প্রায় ৬৪ লাখ মানুষ। ২০২০ সালে করোনা ভয়ংকর ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ২০২১ থেকে তার প্রকোপ কখনও কমে, কখনও বাড়ে। অবশেষে ২০২২ সালের মার্চের পর থেকে করোনার প্রাণঘাতী শক্তি যেন একটু একটু করে কমতে দেখা যায়। এবং অবশেষে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু শূন্য-র এই সুখবরের মুখোমুখি হলাম আমরা!
করোনা-পর্ব শেষ হওয়ার প্রসঙ্গে ডব্লিউএইচও'র প্রধান টেডরস অধানম ঘেব্রেয়সুস বলেছিলেন-- এবার অন্তত করোনার শেষ দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগাতে বিশ্বের কিছু পদক্ষেপ করা জরুরি। তিনি আরও বলেন, 'যদি আমরা এখনও এর সুযোগ না নিই, তাহলে করোনার আরও ভ্যারিয়েন্ট, আরও সংক্রমণ, আরও মৃত্যু দেখতে প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের।
'হু'র করোনাসংক্রান্ত কারিগরি বিষয়ের প্রধান তথা মার্কিন এপিডেমিয়োলজিস্ট মারিয়া ভন কেরখোভ বলেছিলেন, তাঁরা জানেন, সংস্থাটির কাছে করোনার সংক্রমণের যে তথ্য আসছে, তা প্রকৃত নয়। তাঁরা মনে করেন, সংক্রমণের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। করোনার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সব সদস্যকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে বিনিয়োগ করার জন্য দেশগুলির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে 'হু'। সংস্থাটি একই সঙ্গে করোনার পরীক্ষা ও জিনোম সিকোয়েন্সিংও অব্যাহত রাখতে বলেছে।