Home> দেশ
Advertisement

Dam on Brahmaputra: 'বিরাট বিপদের মুখে আমরা, চিন ওয়াটার-বম্ব দিয়ে হামলা করতে পারে যখনতখন...'

Dam on Brahmaputra: ব্রহ্মপুত্রের উপর বাঁধ তৈরি করলে বিপদে পড়তে পারে অরুণাচল-বাংলাদেশ। ছেড়ে দেওয়া হতে পারে জল। 

Dam on Brahmaputra: 'বিরাট বিপদের মুখে আমরা, চিন ওয়াটার-বম্ব দিয়ে হামলা করতে পারে যখনতখন...'

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্রহ্মপুত্র নদের উপরে পৃথিবীর বৃহত্তম বাঁধ তৈরি করছে চিন। এনিয়ে আশঙ্কার মেঘ তৈরি হয়েছে। ওই বাঁধ অরুণাচলের অস্তিত্বই বিলোপ করে দিতে পারে। এমনই মন্তব্য করলেন অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। সংবাদ সংস্থাকে পেমা খাণ্ডু বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের উপরে বাঁধ নির্মাণ একটি গুরুতর উদ্বেগের। চিনকে বিশ্বাস করা যায় না। ওরা আন্তর্জাতিক জল চুক্তিতে সাক্ষর করেনি। তাই ওরা অনেক কিছুই করতে পারে। ওই ব্রহ্মপুত্রের বাঁধকে 'জল বোমা' হিসেবে ব্যবহার ব্যবহার করতে পারে।

খান্ডু বলেন, চিনের ওই বাঁধ ভারতের জন্য আশীর্বাদ হতে পারত। অরুণাচল প্রদেশ, অসম এবং বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন বন্যা রোধ করতে পারত। কিন্তু চিন জলবন্টন চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী নয়। বাঁধটি থেকে যদি হঠাত্ জল ছেড়ে দেয় তাহলে আমাদের গোটা সিয়াং অঞ্চল মুছে যাবে। বিশেষ করে, আদি উপজাতি এবং অনুরূপ গোষ্ঠীগুলোর সম্পত্তি, জমি ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশেষ করে মানুষের জীবনে ধ্বংসাত্মক প্রভাব পড়বে। রাজ্য সরকার ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরে সিয়াং প্রকল্প নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। যা একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে এবং জল সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

চিন যে ব্রহ্মপুত্রের উপরে বাঁধ নির্মাণ করছে তা অনেক পুরনো বিষয়। এনিয়ে তারা কিছু বলেনি। ফলে তারা ঠিক কী করছে তা বোঝা যায় না। এনিয়ে খান্ডু বলেন, চিন বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। বাঁধটির কাজ শেষ হলে আমাদের অংশে সিয়াং এবং ব্রহ্মপুত্র শুকিয়ে যেতে পারে। ভারত সরকার যদি পরিকল্পনা অনুসারে তার প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে পারে তবে এটি নিজস্ব বাঁধের জলের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।

আরও পড়ুন-ভারী বৃষ্টিতে তোলপাড় হবে এইসব জেলা, দুর্যোগ কমবে কবে?

আরও পড়ুন-হাতে আর মাত্র ৫ দিন, ইয়েমেন মৃ*ত্যু*দ*ণ্ডপ্রাপ্ত কেরালার নার্সকে বাঁচাতে কেন্দ্রের হাতে এখন একটাই অস্ত্র?

উল্লেখ্য, চিনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ২০২১ সালে সীমান্ত অঞ্চলে সফরের পর ইয়ারলুং সাংপো বাঁধ প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল। চিন ২০২৪ সালে পাঁচ বছরের জন্য ১৩৭ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্প অনুমোদন করেছে বলে জানা গেছে, যা ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধে পরিণত হয়েছে। প্রকল্পটি পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল হিমালয় এলাকায় অবস্থিত। এটি একটি টেকটোনিক প্লেটের সীমানা বরাবর অবস্থিত। ফলে বাঁধ নির্মাণের ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকেই য়ায়। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More