জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আপনি কি জানেন, মাছির আতঙ্কে বউরা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে দলে দলে বাপের বাড়ি চলে যাচ্ছেন? অবাক হবেন না। আগে ঘটনাটা পুরো শুনুন। ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের হারদোই। এই এলাকায় এমন ১০টি গ্রাম রয়েছে যেখানে মাছির উপদ্রবে অতিষ্ঠ মানুষ। সব চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা, এই সব গ্রামে একটি বিয়েও হচ্ছে না। এসব গ্রামে কোনো পরিবারই তাদের মেয়ের বিয়ে দিতে প্রস্তুত নয়। যাঁদের ইতিমধ্যেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে, তাঁদের বউরা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন! এসব গ্রামে বিয়ে হওয়া মহিলারা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি যাওয়ার আগে বলে যাচ্ছেন-- হয় তাঁদের স্বামীকে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে অথবা তাঁরা নিজেরাই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যাবেন! স্বামী যেতে রাজি না হলে সেটাই করছেন।
আরও পড়ুন: ৪০০ ফিট গভীর গর্তে ৮ বছরের খুদে! ৬৫ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান শেষে মর্মান্তিক পরিণতি
মাছিকে কেন এত ভয়?
হবে না-ই বা কেন! মাছি তো রোগের ভাণ্ডার। একটি মাছি খাবারে বসে ৯০০টি ডিম দিতে পারে, দেয়ও; তা থেকে মানবশরীরে নানা রোগ ছড়ায়। ফলে সচেতন থাকতেই হয়। হাউসফ্লাইয়ের পেটের কাছে, একটি অঙ্গ আছে। হজম করার আগে মাছিদের খাবার ওই অঙ্গের মধ্যেই থাকে। এতে নানা বিপজ্জনক অণুজীব অর্থাৎ, পরজীবী পাওয়া যায়। তা থেকেই সংক্রমণ, তা থেকেই বিপদ। ফলে, মাছি উড়ে এসে খাবারের উপর বসলে সেই খাদ্য খেয়ে মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: এসকর্ট সার্ভিসের সাইটে বউ-বোনের ছবি! বডি ম্যাসাজ খুঁজতে গিয়ে একি দেখলেন যুবক...
ঘরে মাছি আসে কেন?
সাধারণত ঘরে বা ঘরের আশেপাশে কোনো ময়লা আবর্জনা, মল, পচা শাকসবজি বা আনাজের খোসা পড়ে থাকলে মাছিরা আকৃষ্ট হয়। মাছি শর্করা ভালোবাসে, এ কারণে তারা পাকা ফল খায়, কোল্ড ড্রিংকস পছন্দ করে। অ্যালকোহল পান করতেও পছন্দ করে। এজন্য এগুলি যখন মাটিতে পড়ে, তখনই মাছির দল এসে ভিড় করে।
বারবার তাড়ানোর পরও কেন মানুষের শরীরে মাছি বসে?
মাছিদের মুখ খুব নরম, তাই মানুষের শরীরের উপর এরা বসে বটে, কিন্তু কামড়ায় না। তবে ত্বক থেকে খাবার শুষে খায়। মানবদেহ থেকে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড মাছিদের খাদ্য। তাই গ্রীষ্মকালে শরীর থেকে নির্গত ঘামের প্রতি মাছি আকৃষ্ট হয়। এবং ফিরে ফিরে এসে বসে।