Home> দেশ
Advertisement

ED Against Gandhi Family | National Herald Case: এবার ইডির নজরে গান্ধী পরিবার! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অস্বস্তিতে রাহুল-সোনিয়া! সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু...

National Herald case: এক দশকের পুরনো মামলায় এখন অস্বস্তিতে গান্ধী পরিবার। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সম্পর্কিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ১১ এপ্রিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিল্লি, মুম্বই ও লখনৌয়ের প্রপার্টি রেজিস্টারকে নোটিশ দিয়েছে। এই এলাকাগুলিতে ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের সম্পত্তি রয়েছে।

ED Against Gandhi Family | National Herald Case: এবার ইডির নজরে গান্ধী পরিবার! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অস্বস্তিতে রাহুল-সোনিয়া! সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার ইডির নজরে গান্ধী পরিবার? এবার রাহুল গান্ধী সোনিয়া গান্ধীর ঘরে ঢুকে পড়ল ইডি? ইডি এবার গান্ধী পরিবারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে শুরু করল? এত সব প্রশ্ন উঠছে, কারণ, জানা গিয়েছে, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সম্পর্কিত সম্পত্তির হিসাব ও তা নিয়ে তদন্ত ও তার ফলশ্রুতিস্বরূপ সেসবের মধ্যে যা সন্দেহজনক, তা বাজেয়াপ্ত করতে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কোন মামলায় ইডির এহেন পদক্ষেপ? জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল হেরাল্ড অর্থ পাচার মামলায় জড়িত অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডে (এজেএল)-র সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।

এক দশকের পুরনো মামলা এই ন্যাশনাল হেরাল্ড কেস। এর জেরেই এবার নতুন করে অস্বস্তিতে পড়ল গান্ধী পরিবার। গত ১১ এপ্রিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি দিল্লি, মুম্বই ও লখনৌয়ের প্রপার্টি রেজিস্টারকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই এলাকাগুলিতে ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের সম্পত্তি রয়েছে। যেগুলি অ্যাসোশিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (AJL) থেকে অধিগ্রহণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের (YIL) মালিক সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী।

আরও পড়ুন: Myanmar Earthquake: ভয়ংকর ভূমিকম্প রবিসকালেই! ফের সেই মায়ানমার! ধ্বস্ত ভগ্ন দেশই আবার দুলে উঠল...

আরও পড়ুন: Gajon Sannyasi Accident: চড়কসন্ন্যাসী হয়েছিল নবমশ্রেণির পড়ুয়া! গাজনের 'ঝাঁপ' থেকে হঠাৎই নীচে পড়ে গেল সে...উফ্...

এজেএল, যেটি আগে ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা প্রকাশ করত, সেটি ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেডে (ওয়াইআইএল)-র দ্বারা অধিগৃহীত হয়। এই কোম্পানির মালিকানা মূলত সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীরই। এখন ইডির দাবি, এই অধিগ্রহণের পিছনে ছিল আর্থিক কৌশল এবং বেআইনি অর্থপাচার। যার মাধ্যমে প্রায় ৯৮৮ কোটি টাকার সম্পত্তি অর্জিত হয়েছে! ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ইডি দিল্লি, মুম্বই ও লখনউতে মোট ৬৬১ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি এবং ৯০.২ কোটি টাকার এজেএল শেয়ার প্রাথমিকভাবে বাজেয়াপ্ত করেছিল। অভিযোগে বলা হয়েছে, ইয়ং ইন্ডিয়ান মাত্র ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে এজেএলের কর্তৃত্ব নিয়েছিল, যে সম্পত্তির মোট মূল্য ২,০০০ কোটিরও বেশি! বিজেপি নেতা সুব্রহ্ম্যনিয়ম স্বামী ২০১৪ সালে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছিলেন। যে মামলার ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু হয়। এছাড়াও, মুম্বইয়ের হেরাল্ড হাউজ ভবনে অবস্তিত জিন্দাল সাউথ ওয়েস্ট প্রজেক্টস কোম্পানিকে একটি আলাদা নোটিস পাঠানো হয়েছে ইডির তরফে। যেখানে তাদের বলা হয়েছে, ভবিষ্যতের ভাড়ার টাকাপয়সা সব ইডি-র কাছে জমা দিতে হবে!

কেন রাহুল-সোনিয়াকে এই নোটিশ পাঠাল ইডি? ইডির বক্তব্য, এই সম্পত্তিগুলি বেআইনিভাবে অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং এগুলি ব্যবহার করে 'অবৈধ ভাবে অর্থ' উপার্জন করা হচ্ছিল। এমনকি ভুয়ো অনুদান, অগ্রিম ভাড়া এবং বিজ্ঞাপনের আড়ালে ৮৫ কোটিরও বেশি টাকা জোগাড়ের প্রমাণও তারা নাকি পেয়েছে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More