পূজা দাস: ঢাকা শহরের একটি অন্যতম কর্মব্যস্ত এলাকা হাতির পুল। সেই হাতিরপুলেই এবার খোঁজ মিলল এমন এক বাড়ির যেখানে দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে নকল ফোন তৈরীর চোরা ব্যবসা। দিনের পর দিন একেবারে আসল মোবাইল ফোনের আদলে তৈরী হয়েছে নকল নোকিয়া, স্যামসাং-সহ আরও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফোন। পুলিস সূত্রে খবর, এই নকল ফোন মেরামতকারীদের প্রত্যেকেরই পড়াশোনা পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত। এরপরই বেশ কিছুদিন অন্য কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, পরে সকলে মিলে একজোট হয় এই কাজের জন্যে।
আরও পড়ুন: Chennai: ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে যুবতীকে খুন, খবর পেয়েই শোকে মৃত বাবা!
সোমবার, ১০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এই রাকেট সর্ম্পকে সবটা খোলাখুলি বলেন। এবং মানুষকে সর্তক থাকার পরামর্শ দেন। গত ৮ অক্টোবর ওই এলাকায় অভিযান চালায় ঢাকা পুলিশ বিভাগের গোয়েন্দারা। এ সময়ই মোতালেব প্লাজা ও মোতালেব টাওয়ার থেকে চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে,নষ্ট ফোন সাড়াইয়ের নাম করে চায়না থেকে যন্ত্রপাতি কিনে এনে এসব নকল ফোন তৈরি করতেন তাঁরা। অভিযানের সময় নোকিয়া ব্র্যান্ডের ৩১৩টি ও স্যামসাংয়ের ২০৬টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে কারখানা থেকে। এছাড়াও এই কাজে ব্যবহৃত একটি মেশিনসহ বিপুল পরিমাণ যন্ত্রপাতিও উদ্ধার করেছে পুলিসকর্মীরা। এই চক্রের সদস্যরা হলেন মশিউর রহমান, সাগর হোসেন, রহমত আলী, সুজন আলী, তরিকুল ইসলাম বাবু ও মনির হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রশীদ জানান,চায়না থেকে যন্ত্রপাতি কিনে আনার পর কোনো নিয়ম না মেনে প্রস্তুত করা হতো নোকিয়া ও স্যামসাংয়ের মতো ব্র্যান্ডের ফোনগুলি। নিয়ম না মেনে তৈরী করায় চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকেন এসব মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা। বিস্ফোরণের আশঙ্কাও থাকে সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও তাঁর দাবি, নকল ফোন বিক্রির কারণে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।”