জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো:
হাসপাতালে শুয়ে কাতরাচ্ছেন পথদুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি, পা থেকে গলগল করে বেরোচ্ছে রক্ত। পাশেই কর্তব্যরত চিকিৎসক আরামে শুয়ে ঘুমোচ্ছেন, পা তুলে রেখেছেন টেবিলের উপর। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মীরাটের লালা লাজপত রায় মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়, আর সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ।
মৃত ব্যক্তির নাম সুনীল। সোমবার সন্ধ্যায় পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে পুলিশ উদ্ধার করে মীরাটের ওই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার জরুরি বিভাগে ভরতি করা হলেও, পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ রক্তাক্ত অবস্থায় স্ট্রেচারে শুয়ে কাতরাচ্ছিলেন সুনীল, চিকিৎসা তো দূর, কোনও চিকিৎসক খোঁজও নেননি।
ঘটনার বিবরণ:
ঘটনাটি গত ২৫শে জুলাই, ২০২৫ তারিখে মিরাটের সুভারতি হাসপাতালে ঘটে। অভিযোগ অনুযায়ী, একজন রোগী (পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি) চিকিৎসারত অবস্থায় ছিলেন এবং তাঁর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। রোগীর পরিবারের সদস্যরা কর্তব্যরত ডাক্তারকে বারবার ডাকার চেষ্টা করেন, কিন্তু ডাক্তার তার এসি রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন এবং তাদের ডাকে সাড়া দেননি। পর্যাপ্ত চিকিৎসা সহায়তা না পাওয়ায় রোগীর মৃত্যু হয়।
অভিযোগ ও তদন্ত:
এই ঘটনায় রোগীর পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম অবহেলা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ এনেছেন। তারা দাবি করেছেন, ডাক্তারের গাফিলতির কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় প্রশাসনও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
জনমনে ক্ষোভ:
এই ঘটনাটি ভারতের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং চিকিৎসকদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে একজন ডাক্তার জরুরি মুহূর্তে এমন অবহেলা করতে পারেন এবং রোগীদের জীবন নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে।
ভিডিয়ো:
ভিডিয়ো দেখা গিয়েছে, দুই জুনিয়র ডাক্তার ভূপেশ কুমার রাই ও অনিকেত দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও ঘুমিয়ে ছিলেন। একটি ফ্রেমে দেখা গিয়েছে, এক মহিলা কোলে বাচ্চা ও হাতে প্রেসক্রিপশন নিয়ে ডাক্তারকে জাগানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু ঘুম ভাঙছে না। অন্যদিকে, সুনীল তখনও রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় পড়ে কাতরাচ্ছেন।
ঘটনার সময় ডিউটির ইন-চার্জ চিকিৎসক ডঃ শশাঙ্ক জিন্দল হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। তদন্তে তিনি দাবি করেন, 'আমি যখন পরিবার ও রোগীর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পারি, সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যাই ও জরুরি চিকিৎসা শুরু করি, IV ফ্লুইড ও কাস্ট দেওয়া হয়। যদিও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।'
এই ধরনের ঘটনা চিকিৎসা পেশার প্রতি মানুষের আস্থা কমিয়ে দেয় এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতের মান উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
टेबल पर पैर फेंक डॉक्टर साहब सो रहे हैं, उधर मरीज तड़प तड़प मर गया. ये असंवेदनशीलता की पराकाष्ठा नहीं तो क्या है ?
— Priya singh (@priyarajputlive) July 28, 2025
यह इंसान डॉक्टरों के नाम पर कलंक है, घटना मेरठ के LLRM मेडिकल कॉलेज की है, जहां हादसे में घायल सुनील तड़प तड़प कर मर गया और डॉक्टर सोते रहे pic.twitter.com/kqcZMHy3Ab
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল