Home> দেশ
Advertisement

Dharmasthala skeletons recovery horror story: ৫০০ বডি সরিয়েছি! যৌ*ন নির্যাতনের পর ধর্মস্থল মন্দির চত্বরেই ১০০ নারীরও গণকবর! সাংসদের চিঠি, বড় আপডেট...

Dharmasthala skeletons recovery horror storyসাফাই কর্মী এখন একজন সাক্ষী এবং তিনি তদন্তকারীদের কবর স্থানগুলোতে নিয়ে যেতে রাজি হয়েছেন। খবরে আরও বলা হয়েছে যে একটি তদন্তে দেখা গেছে, ওই কর্মী ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কবর দেওয়া কঙ্কালের দেহাবশেষ তুলেছিলেন।

Dharmasthala skeletons recovery horror story: ৫০০ বডি সরিয়েছি! যৌ*ন নির্যাতনের পর ধর্মস্থল মন্দির চত্বরেই ১০০ নারীরও গণকবর! সাংসদের চিঠি, বড় আপডেট...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেরালা সাংসদ সন্তোষ কুমার পি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে একটি চিঠি লিখেছেন যে, কর্ণাটকের ধর্মস্থলে গণকবর দেওয়ার অভিযোগের উঠেছে। ঘটনাটি খুবই চাঞ্চল্যকর।

কর্ণাটকের সাংসদের চিঠি: 

চিঠিতে মন্দিরের সাফাই কর্মীর স্বীকারোক্তি রয়েছে, যিনি দাবি করেছেন যে তিনি ৫০০টিরও বেশি মৃতদেহ সৎকার করেছেন। এর মধ্যে অনেকেই নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে ছিল, যাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল।

সাংসদ স্থানীয় পুলিসের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ এনেছেন এবং মন্ত্রকের কাছে এই তদন্ত ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)-এর কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ করেছেন। কর্ণাটক সরকার এই অভিযোগগুলির তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করেছে, যা গত দুই দশক ধরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলিকে খতিয়ে দেখবে।

রাজ্যসভার সদস্য সন্তোষ কুমার পি-এর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লেখা একটি চিঠি অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। এতে ধর্মস্থল মন্দিরের একজন সাফাই কর্মীর একটি  স্বীকারোক্তি রয়েছে, যিনি দাবি করেছেন যে তিনি ৫০০ টিরও বেশি মৃতদেহ সৎকার করেছেন, যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিল নারী এবং নাবালক যাদের উপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। গুরুতর অভিযোগের পর, কর্ণাটক সরকার ফৌজদারি অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করেছে।

রাজ্যসভার সাংসদের মতে, মন্দিরের সাফাই কর্মী, তদন্তকারীদের সমাধিস্থলে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

একাধিক আরটিআই আবেদনকারী, কর্মী এবং শোকাহত পরিবারগুলি নিহতদের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে সরাসরি "হুমকি" এবং "অনলাইনে নির্যাতনের" মুখোমুখি হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কিন্তু "ভীতি প্রদর্শন এবং দমন" করা হয়েছে।

সাক্ষী সাফাই কর্মী:  

ওই সাফাই কর্মী এখন একজন সাক্ষী এবং তিনি তদন্তকারীদের কবর স্থানগুলোতে নিয়ে যেতে রাজি হয়েছেন। খবরে আরও বলা হয়েছে যে একটি তদন্তে দেখা গেছে, ওই কর্মী ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কবর দেওয়া কঙ্কালের দেহাবশেষ তুলেছিলেন।মন্দিরের এক প্রাক্তন সাফাইকর্মী এই দাবি করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নারকীয় নির্যাতনের শিকার মেয়ে থেকে মহিলাদের দেহ তিনি কবর দিয়েছেন, বেশ কিছু পুড়িয়েওছেন। তাই তাঁর দাবি, নির্যাতিত ও নিহত নারীর সংখ্যাটা ১০০-র বেশিও হওয়াই স্বাভাবিক। সম্প্রতি কিছু কংকাল তিনি খুঁড়ে বেরও করেছেন (Dharmasthala mass-burial case)।

এছাড়াও, সুজাতা নামে এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছেন তার মেয়ে অনন্যাকে নিয়ে, যে ২০০৩ সালে মন্দির শহরে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। সাংসদ ধর্মস্থলের আধ্যাত্মিক পবিত্রতা নষ্ট না করে সত্য উন্মোচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

নতুন মামলা: 

৩ জুলাই তারিখের অভিযোগের ভিত্তিতে, ধর্মস্থল থানা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS) এর ধারা ২১১(ক) এর অধীনে মামলাটি নথিভুক্ত করেছে। মামলার তদন্তে জানা গেছে যে তিনি সম্প্রতি সমাধিস্থলে ফিরে এসেছিলেন এবং ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কবর দেওয়া কঙ্কালের দেহাবশেষ উত্তোলন করেছিলেন।

চিঠিতে আরও জোর দেওয়া হয়েছে যে ধর্মস্থলের আধ্যাত্মিক পবিত্রতার কোনও ক্ষতি করা উচিত নয়, কারণ আচার-অনুষ্ঠান বা আপাতদৃষ্টিতে তা করা উচিত নয়। তিনি বলেন, “ভারত জুড়ে ভক্তদের দ্বারা সম্মানিত একটি পবিত্র শহর ভয়, সন্দেহ এবং চাপা সত্য দ্বারা আবৃত থাকতে পারে না। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে, আমরা ভুক্তভোগীদের, জাতির এবং ধর্মস্থলের ঐতিহ্যের প্রতি ঋণী, যাতে ভয় বা অনুগ্রহ ছাড়াই সত্য উন্মোচিত হয়।”

ঘটনার সূত্রপাত: 

উল্লেখ্য, মন্দির চত্বরে গণকবর! এক বা দুটো নয়! ৫০০ গণকবর! উদ্ধার কংকাল! ১০০ নারীদেহের কংকাল! আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কর্ণাটকের জনপ্রিয় তীর্থস্থান ধর্মস্থলকে কেন্দ্র করে সামনে এসেছে ভয়ংকর অভিযোগ। অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে শত শত নারীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই মন্দির চত্বরেই। আর এই ভয়ংকর অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় সারা দেশ (Dharmasthala mass-burial case)।

তাঁর অভিযোগ,"অনেক নারীর দেহে ন্যূনতম পোশাক বা অন্তর্বাসটুকু পর্যন্ত ছিল না। যৌন নির্যাতন এবং নৃশংস খুনের স্পষ্ট চিহ্ন ছিল। হয় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। বা শরীরে ক্ষতের কারণে রক্তক্ষরণেই তাঁদের মৃত্যু হয়। যা ভয়াবহ হিংস্রতাকে ইঙ্গিত করে। ছাত্রী সহ ১০০ জনেরও বেশি নারীকে ধর্ষণ, হত্যা এবং কবর দেওয়া হয়েছিল। অনেকে নাবালিকাও ছিল।" এমনটাই লিখেছেন তিনি অভিযোগপত্রে। তাঁর অভিযোগের স্বপক্ষে ধর্মস্থল পুলিসের কাছে কংকালের অবশিষ্টাংশের ছবিও দিয়েছেন তিনি।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More