জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অনন্তরাজুর ভাষা বাংলা নয়। কিন্তু হলে তিনি এখন ঠিক কোন গানটি গাইতেন, বা কোন গানটি তাঁর নববিবাহিতা স্ত্রীকে শোনাতেন, তা হলফ করে বলে দেওয়া যায়-- 'আমি চিনি গো চিনি তোমারে, ওগো বিদেশিনী'! কেন এই গানটিই গাইতেন অনন্তরাজু? কারওর কনে যদি সুদূর বেলজিয়াম থেকে ভারতে এসে তাঁকে বিয়ে করেন, তা হলে তাঁকে এ ছাড়া আর কোন গানই-বা শোনাতে পারেন সেই বর? এটা ২০২২ সাল। আর সেই ২০১৯ সালে অনন্তরাজুর সঙ্গে বেলজিয়ামের ওই তরুণীর প্রথম দেখা। নাম তাঁর ক্যামিলে। ক্যামিলে তাঁর পরিবারের সঙ্গে ভারতে হাম্পি ঘুরতে এসেছিলেন। সেই সময়ে অনন্তরাজুর সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয়েছিল। তখনই অনন্তের ব্যবস্থাপনা, দায়িত্বশীলতা, সততা ও সর্বোপরি তাঁর আতিথেয়তায় আকৃষ্ট ও মুগ্ধ হয়েছিল ক্য়ামিলের গোটা পরিবার। সেই মুগ্ধতা নিয়েই তাঁরা নিজেদের দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। এমনও বলে গিয়েছিলেন, আবার হাম্পি ঘুরতে আসবেন। কিন্তু দেশে ফেরার পর থেকেই অনন্তের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত যোগাযোগ গড়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: Baba Ramdevs Remark: রামদেব উবাচ! শরীরে একটি সুতো না থাকলেও মেয়েদের দেখতে সুন্দর লাগে...
সেই প্রেম পরিণতি পেল বিয়েতে। বেলজিয়াম থকে এলেন ক্যামিলে। অনন্তরাজু ৩০, ক্যামিলে ২৭। গতকাল, ২৫ নভেম্বর এঁদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হল। অনুষ্ঠিত হল একেবারে হিন্দুমতেই। যেখানে তাঁদের প্রথম দেখা হয়েছিল, সেই হাম্পিতেই তাঁরা বিয়েটা সারলেন। কিন্তু এমন একটা লগ্নে এসে পৌঁছতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হল তাঁদের। কেননা প্রথম দেখা হওয়া থেকে বিয়ে-- এর মধ্যে মূর্তিমান বিভীষিকার মতো এসে দাঁড়িয়েছিল করোনা। করোনার বাড়বাড়ন্ত পুরোপুরি কমার পরে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন। অনন্ত বলেছেন, তাঁরা মাত্র গত বছরই ঠিক করেন যে, তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন।
তাঁদের প্রেম-সম্পর্কের এই পরিণতিতে যেন পুরনো কথাটাই ফের প্রমাণিত হল-- প্রেম কোনও সীমানা মানে না।