জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাংহাই কোঅপারেশন অরগানাইজেশনের(SCO) বৈঠকে যোগ দিতে গোয়ায় এসেছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তাঁকে কড়া কথা শুনিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে জয়শঙ্কর বলেন, যারা সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাদের সঙ্গে এক আসনে বসে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা করা যায় না। বিলাওয়াল ভুট্টো এদেশ এসেছেন সংগঠনের একটি সদস্য দেশের বিদেশমন্ত্রী হিসেবে। এর বেশি কিছু আমরা দেখি না। এখানেই থেমে থাকেননি জয়শঙ্কর। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে তিনি সন্ত্রাসবাদীদের উত্সাহদাতা ও মুখপাত্র বলেও নিশানা করেন।
আরও পড়ুন-ইস্তফা ফিরিয়ে ফের চমক শরদ পাওয়ারের, জিইয়ে রাখলেন রহস্য
গোয়ায় এসসিও-র বৈঠকের পাশাপাশি আলাদাভাবে কথা বলেননি বিলাওয়াল ও জয়শঙ্কর। বরং সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি বিজেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার প্রশ্নে পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্যতা তাদের মূদ্রার দামের থেকেও দ্রুত নেমে যাচ্ছে।
এদিকে, সংবাদমাধ্য়মের তরফে প্রশ্ন উঠেছে, বিলাওয়াল আলাদা করে সন্ত্রাস নিয়ে জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বললেন না কেন? এ ব্যাপারে বিলাওয়ালও কম যান না। এক সংবাদমাধ্যমে বিলাওয়াল বলেন, ২০১৯ সালে ৫ আগস্ট কাশ্মীরে ভারত যে পদক্ষেপ নিয়েছে(৩৭০ ধারা রদ) তা যদি পুনর্বিবেচনা না করে তাহলে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কথা বলতে পারে না। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থান একই রয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার ভারতের তত্কালীন বিদেশমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণর সঙ্গে ২০১১ সালের বৈঠকে বসেছিলেন। তার পর থেকে দুদেশের বিদেশেমন্ত্রীদের কোনও বৈঠক হয়নি। বিলাওয়াল বলেন, ভারত চাইছে বলেই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে বরং সন্ত্রাসের সবচেয়ে বড় শিকার খোদ পাকিস্তান। আমি নিজেই সন্ত্রাসের শিকার। তাই সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান বদ্ধপরিকর। সন্ত্রাস দমন না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হবে না। ভারতের এই অবস্থান নিয়ে বিলাওয়াল বলেন, ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে আমরা সহমত। তবে আমাদের উদ্বেগের কথাও শুনতে হবে। ভারতকে বলতে হবে, পাকিস্তানে কী করছিল কুলভূষণ যাদব। একজন প্রাক্তন নৌসেনা হিসেবে সে পাকিস্তানে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছিল। এটা কি সীমান্তপার সন্ত্রাস নয়?