Home> দেশ
Advertisement

Ganga Water Sharing Treaty: সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে পাকিস্তানকে শিক্ষা! গঙ্গা জলবন্টন নিয়ে এবার কি বাংলাদেশকেও...

Ganga Water Sharing Treaty: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে গঙ্গা জলবণ্টনের একটি কাঠামো তৈরি করেছিলেন

Ganga Water Sharing Treaty: সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে পাকিস্তানকে শিক্ষা! গঙ্গা জলবন্টন নিয়ে এবার কি বাংলাদেশকেও...

সেলিম রেজা, ঢাকা: আগামী বছর ভারতের সঙ্গে শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন চুক্তির ব্যাপারে ভাবছে নয়াদিল্লি। পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি বাতিলের পর বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান গঙ্গা চুক্তির একাধিক বিকল্প অথবা এটিতে সংযোজন-বিয়োজনের ব্যাপারে ভাবছে দিল্লি। এমনটাই খবর রাজনৈতিক মহলে।

গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে। ৩০ বছর আগে ১৯৯৬ সালে এই চুক্তিটি কার্যকর হয়েছিল। এখন নতুন করে চুক্তির বিষয়টি সামনে আসছে। যেখানে নতুন চুক্তির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমঝোতার প্রয়োজন। সেখানে ভারত সম্পূর্ণ নতুন একটি চুক্তি নিয়ে ভাবছে যেখানে তাদের ‘বর্তমান উন্নয়নমূলক বিষয়াবলীর’বিষয়টি থাকবে। এমনটাই সূত্রের খবর।

গঙ্গা জলচুক্তি কী?

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে গঙ্গা জলবণ্টনের একটি কাঠামো তৈরি করেছিলেন। এতে বলা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের ফারাক্কা বাঁধে, প্রতি বছর শুষ্ক মরসুমে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জলের প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। মূলত ফারাক্কায় জলবন্টন নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল সেটি নিরসনে ওই চুক্তিটি হয়।

১৯৭৫ সালে ফরাক্কা বাঁধ সচল করে। এই বাঁধের মাধ্যমে গঙ্গা থেকে জল হুগলি নদীতে নিয়ে যাওয়া হয় যেন কলকাতা বন্দর নৌ চলাচলের উপযোগী থাকে। গঙ্গা চুক্তির মাধ্যমে উজানের দেশ ভারত ভাটির দেশ বাংলাদেশকে কথা দেয় তারা ফারাক্কা বাঁধে জল সরবরাহ ঠিক রাখবে। এই বাঁধটি তৈরি করা হয়েছে ভাগীরথী নদীতে যা বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

আরও পড়ুন-যুব সভাপতি হওয়ার খুশি স্থায়ী হল না, ৯ দিনের মাথায় চলে গেল পদ

আরও পড়ুন-রাস্তায় পড়েছিল তেল জাতীয় কিছু! বাইক বাঁচাতে ব্রেক কষেও ভয়ংকর দুর্ঘটনায় সরকারি বাস

ফরাক্কা বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে ভারত কলকাতা বন্দর ট্রাস্টের জন্য গঙ্গার ৪০ হাজার কিউসেক জল একটি খালের মধ্যে নিয়ে যায়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছর ১১ মার্চ থেকে ১১ মে পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই প্রতি ১০ দিনের জন্য ৩৫ হাজার কিউসেক জল পাবে। কিন্তু ভারত এখন নতুন চুক্তি করে এই সময়টায় আরও ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক বেশি জল চায়। তাদের দাবি এখন যেহেতু তাদের কৃষির প্রসার ঘটেছে তাই আরও বেশি জলের প্রয়োজন। তারা এখন তাদের সেচ, বন্দর রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আগের চেয়ে বেশি জল চেয়ে নতুন চুক্তি সাজাচ্ছে। ভারত সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক্ষেত্রে একমত পোষণ করেছে বলে জানা গেছে। তাদের মতে, এখন তাদের যে পরিমাণ জলের প্রয়োজন সেটি বর্তমান গঙ্গা চুক্তি মেটাতে পারছে না।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More