নিজস্ব প্রতিবেদন: ফ্রোজেন পরোটায় জিএসটি লাগছে ১৮ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিস্ময়ের অন্ত নেই। রেস্তোরাঁর পরোটা বা রুটিতে জিএসটি লাগে ৫ শতাংশ। তো ফ্রোজেন পরোটা কী দোষ করল? বিস্মিত নেটিজেনরা। কেনই বা এমন বৈষম্য? তার ব্যাখ্যা এল।
ফ্রোজেন পরোটায় ১৮ শতাংশ পণ্য ও পরিষেবা কর চাপিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল। এই ধরনের পরোটা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। দামও পড়ে বেশি। কেন্দ্রীয় সরকারের এক সূত্রের বক্তব্য, ফ্রোজেন পরোটা সাধারণত বড়লোকেরাই কিনে থাকেন। সে কারণে অতিরিক্ত কর চাপানো হয়েছে।
কেন্দ্রের সূত্র বলছে,''ফ্রোজেন পরোটা সিল প্যাকেটে থাকে। সাধারণভাবে দামও বেশি। সমাজের উচ্চশ্রেণির মানুষই এই ধরনের পরোটার ক্রেতা। তাঁরা অতিরিক্ত কর দিতে সমর্থ। বিস্কিট, প্যাস্ট্রি ও কেক কিনলেও তো ১৮ শতাংশ কর দিতে হয়। সাধারণ রুটি বা পরোটা সঙ্গে প্যাকেটজাত পরোটাকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। রুটি, পরোটার মতো এটা সাধারণ মানুষের খাবার নয়। আর রুটি বা অরোটা রেস্তোরাঁয় কেউ অর্ডার করলে বা প্যাকেটে নিলে তা ৫ শতাংশই পড়বে।''
ফ্রোজেন পরোটা নিয়ে বিতর্কে ঢুকে পড়েছে উত্তর-দক্ষিণের লড়াইও। টুইটারে ট্রেন্ডিং হতে শুরু করে #HandsOfPorotta। দক্ষিণীরা দাবি করেন, বৈষম্যের স্বীকার তাঁরা। উত্তর ভারতীয়রা রুটি খান। আর দক্ষিণের লোকেরা পরোটা পছন্দ করেন। এটা সাংস্কৃতিক বৈষম্য।
No comparison b/w Roti & Porotta.Any mallu will go for porotta without thinking twice.
— Khushboo (@Khush_boozing) June 12, 2020
Applying 18% GST on such regular food is just an agenda of pushing North cuisine in South.
We have Resisted all kind of Fascism & this Food Faicism will also meet the same fate.#HandsOfPorotta
Fascism extends their hate towards Kerala even through Porotta ! Might be the side dish with which it's served triggers them
— MFWAI KERALA STATE (@mfwaikerala) June 12, 2020
Easy and take your hand's off it, otherwise suffer the outrage
Here sharing a pic of famous porotta-beef from Gulan's fastfood.#HandsOffPorotta pic.twitter.com/WvXIKKaa2m
এমন অভিযোগ উড়িয়ে কেন্দ্রের ওই সূত্র বলছে, দুনিয়াজুড়েই এমন নীতি রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবারের সব দেশেই বেশি কর নেওয়া হয়। উদাহরণ, টেট্রা প্যাকেটের দুধ ও কনডেন্সড দুধ।
আরও পড়ুন- মাস্ক পরে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষে পেয়েছেন হাজার হাজার মানুষ, বলছে গবেষণা